সুকুমার সরকার, ঢাকা: করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় সড়কপথে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যে সায় দেয়নি পশ্চিমবঙ্গ। তাই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে মালবাহী ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি ও ঢাকা। রাজধানী ঢাকায় ভারতীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রক, রেলমন্ত্রক ও রেলওয়ে অধিদপ্তর এবং রাজস্ব বোর্ডের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: হায় স্ত্রী! করোনাক্রান্ত স্বামীকে ঘরে ঢুকতে বাধা, উপসর্গ নিয়ে বোনের বাড়িতেই মৃত্যু]
জানা গিয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে বাণিজ্যিক আদানপ্রদান বজায় রাখতে রল-রাধিকাপুর, দর্শনা-গেদে, বেনাপোল-পেট্রাপোল ও রহনপুর-সিঙ্গাবাদ রুটে মালবাহীর পাশাপাশি পার্সেল স্পেশ্যাল ট্রেন চালাবে ভারত-বাংলাদেশ রেল কর্তৃপক্ষ। করোনা ভাইরাসের হামলায় জরুরি ভিত্তিতে এই ট্রেনগুলি চলবে বলে উভয় দেশ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রশাসনের একাংশের দাবি, পশ্চিমবঙ্গ সরকার করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্থলপথ দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যে সায় দেয়নি। তদুপরি হরিদাসপুরের বাসিন্দাদের বিক্ষোভ ও ওইপথে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচলে বাঁধা দেওয়ার খবর পেয়ে রপ্তানি বজায় রাখতে দিল্লি বন্ধুপ্রতীম বাংলাদেশের সঙ্গে এই বোঝাপড়া সেরে নিয়েছে।
এই বিষয়ে বাংলাদেশের রেল অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মিয়া জাহান বলেন, উভয় দেশের রেলের সম্মতিতে এই পার্সেল ট্রেন চালু করা হচ্ছে। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড়ে পর্যন্ত ভারতীয় লাগেজ ভ্যানে পিঁয়াজ, রসুন, আদা, মশলা ফলমূল-সহ শিল্পকারখানার অতি জরুরি কাঁচামাল আনতে পারবেন। তাঁরা চাইলে ভারতীয় লাগেজ ভ্যান থেকে মাল ট্রান্সশিপমেন্ট করে বাংলাদেশের রেলওয়ের লাগেজ ভ্যানে দেশের যেকোনও স্থানে নিতে পারবেন। তবে কাস্টম ক্লিয়ারেন্স যমুনার পশ্চিম পাড়েই করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, কারণ বঙ্গবন্ধু সেতুর লোড ক্যাপাসিটি কম। ভারতীয় লাগেজ ভ্যানের ওজন বেশি। ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে করলে রেলের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের মালপত্র আমদানি-রপ্তানি শুরু করতে পারেন।
[আরও পড়ুন: করোনা আবহেও বাংলাদেশে মসজিদ খোলার অনুমতি দিল প্রশাসন]
The post সড়কপথে বাণিজ্যে না পশ্চিমবঙ্গের, মালবাহী রেল চলাচলের সিদ্ধান্ত নিল ভারত-বাংলাদেশ appeared first on Sangbad Pratidin.