সুকুমার সরকার, ঢাকা: আর প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার নয়। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মৃত্যু রুখতে কম বিপজ্জনক অস্ত্র ব্যবহার করবে দুই দেশ। এমনই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে নয়াদিল্লি ও ঢাকার মধ্যে। সাম্প্রতিককালে গোলাগুলিতে সীমান্তে মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। যা রুখতে তৎপর হয়েছে দুই ‘বন্ধু’ দেশ।
সোমবার এই চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী হাসান মাহমুদ। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “আমাদের মধ্যে সীমান্তে মৃত্যু ঘটনাগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দুই দেশেই সীমান্তে প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র ব্যবহারে সম্মত হয়েছে। যাতে প্রাণহানি রোখা যায়।” গত ৭ ফেব্রুয়ারি দুদিনের ভারত সফরে গিয়েছিলেন হাসান মাহমুদ। সেখানেই এই চুক্তি নিয়ে দুদেশের মধ্যে আলোচনা হয়।
[আরও পড়ুন: ৫৯ বছর পর ফের চালু মুর্শিদাবাদ-রাজশাহী নৌ চলাচল, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির আশা]
জানা গিয়েছে, এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পাওয়ার পর এটাই ছিল হাসান মাহমুদের প্রথম বিদেশ সফর। এই সফরে আলোচনা হয়েছে তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি নিয়েও।
উল্লেখ্য, গত জানুয়ারি মাসেই উত্তর ২৪ পরগনা সীমান্ত সংলগ্ন যশোরের শার্শা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের এক সদস্যের। এর আগেও সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বিজিবির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। যা নিয়ে হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগছিল বিএনপি। উচ্চপর্যায়ের তদন্তের দাবি জানিয়ে রাষ্ট্রসংঘে নালিশের ভাবনা ছিল খালেদা জিয়ার দলের। বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনার পরই হয়তো এই বিষয় পদক্ষেপ করতে তৎপর হয়েছে দুই দেশ।