সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বালিতে অনুষ্ঠিত জি২০ সম্মেলনের শেষেই ইন্দোনেশিয়া আনুষ্ঠানিক ভাবে ভারতের হাতে সভাপতিত্বের দায়িত্ব তুলে দেয়। অবশেষে বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর থেকে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা শুরু করল ভারত। এই মুহূর্তকে ভারতের জন্য গর্বের বলে জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিলেন বিশ্বজনীন ঐক্যবদ্ধতার প্রচারই করবে ভারত। ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’- প্রাচীন সংস্কৃত মন্ত্র ‘বসুধৈব কুটুম্বকমে’র অনুসরণে এই মতবাদই সকলের কাছে তুলে ধরা হবে।
গত রবিবার ৯৫তম ‘মন কি বাত’ (Mann ki Baat) অনুষ্ঠানেও এই সুরই লক্ষ করা গিয়েছিল মোদির কণ্ঠে। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ”আমাদের সংকল্প ‘এক বিশ্ব, এক সংকল্পে’র। যেকথা বলা আছে বসুধৈব কুটুম্বকম শ্লোকে।” আর এই প্রসঙ্গেই তিনি মনে করিয়ে দেন আগামী জি২০ সম্মেলনের সভাপতিত্বের দায়িত্ব ভারতকে একটা বিরাট সুযোগ দিচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ঘোষিত আইসিএসই ও আইএসসি পরীক্ষার সূচি, করোনার আগের নিয়মেই মূল্যায়ন]
এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কার্যতই উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ”সারা দেশের মানুষ আমাকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, ভারত এই সুযোগ পাওয়ায় তাঁরা কতটা খুশি। এটা আমাদের জন্য খুব বড় সুযোগ। বিশ্বের কল্যাণের দিকে আমাদের ফোকাস থাকবে। সেটা শান্তি হোক, কিংবা একতা অথবা সামগ্রিক উন্নতি। ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’ আমরাই তো এই মন্ত্র দিয়েছি বিশ্বকে।” অবশেষে শুক্রবার জি২০ সভাপতি পদে ভারতের পথচলার শুরুর দিনও সেই একই কথা বলতে শোনা গেল প্রধানমন্ত্রীকে।
সেই সঙ্গে মোদি জানান, ”আজ আমরা সারা পৃথিবীর মানুষের প্রাথমিক চাহিদা পূরণ করতে যা প্রয়োজন তা উৎপাদন করতে সক্ষম।” পাশাপাশি সন্ত্রাস কিংবা জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মোদি জানিয়েছেন, ”আমরা একের পর এক কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। জলবায়ু পরিবর্তন থেকে সন্ত্রাসবাদ কিংবা অতিমারী- এর সমাধান একে অপরের সঙ্গে লড়াই করলে হবে না। হবে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে পারলেই।” উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে পরবর্তী জি২০ সম্মেলন হবে নয়াদিল্লিতে।