স্টাফ রিপোর্টার : ফের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের ইঙ্গিত রাজনাথ সিংয়ের। অনেকবার শান্তভাবে বলা হয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে বহুবার শান্তি আলোচনার উদে্যাগ নেওয়া হয়েছে। তাতেও কাজ হয়নি। সতর্ক করা সত্ত্বেও সীমান্তে উত্তেজনা বজায় রেখেছে পাকিস্তান। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছেই। জঙ্গি কার্যকলাপে মদত দিয়েই চলেছে। তাই এবার আর কোনও রাখঢাক নয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারির সুরে জানিয়ে দিলেন, “দেশকে বাঁচানোর জন্য প্রয়োজনে সেনাবাহিনী সীমান্ত পেরিয়েও হামলা চালাবে।”
[ ‘জাতীয় সংগীত থেকে বাদ দেওয়া হোক অধিনায়ক শব্দটি’ ]
একই সঙ্গে তিনি কাশ্মীর প্রসঙ্গে পাকিস্তানকে বার্তা দিয়ে জানিয়েছেন, সীমান্ত সুরক্ষিত রাখাকে কেন্দ্র সরকার বিশেষভাবে প্রাধান্য দিচ্ছে। কাশ্মীর যেমন ভারতের অংশ ছিল, তেমনই আছে। ভবিষ্যতেও কাশ্মীর ভারতেরই অংশ থাকবে। কাশ্মীরকে কেউ ভারতের থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে তার উত্তর ভারতীয় সেনাবাহিনী একেবারে ‘সঠিকভাবে’ দেবে। এদিন একই সুর শোনা গিয়েছে ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রধান ফারুক আবদুল্লার গলাতেও। তিনিও কাশ্মীর নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পাকিস্তানকে। রাজনাথ বলেছেন, একমাত্র আলোচনার মাধ্যমেই পাকিস্তানের সঙ্গে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান সম্ভব। মোদি সরকার কাশ্মীর সমস্যার স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করতে আগ্রহী। এজন্য ভারত যে কোনও দেশের সঙ্গে কথা বলতে রাজি বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। যদিও তিনি আক্ষেপের সুরে জানিয়েছেন, প্রতিবেশী দেশ মোটেও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চায় না। পাশাপাশি, তিনি জানিয়েছেন, কাশ্মীরের ছেলে-মেয়েরা তাঁদের সন্তানের মতো। ওদের কেউ মগজধোলাই করছে। মৌলবাদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
[ ফের নোট বাতিলের পথে মোদি সরকার! কী বলছে কেন্দ্র? ]
কিন্তু কাশ্মীরি সরকার সেখানকার তরুণ সমাজ যাতে বিপথে চালিত না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখছে বলেও জানিয়েছেন রাজনাথ। যাদের বিরুদ্ধে পাথর ছোড়ার অভিযোগ রয়েছে, তা তুলে নেওয়ার জন্য মুফতি সরকারকে বলা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। নির্দেশ মতোই কাশ্মীর সরকার ইতিমধ্যে প্রায় নয় হাজারের বেশি মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। দেশের অন্যান্য মানুষের সঙ্গে কাশ্মীরের জনতাকেও এক করে দেখা হয় বলেই এদিন জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
বছর কয়েক আগে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানোর পরও সন্ত্রাসে মদত দেওয়া বন্ধ করেনি পাকিস্তান। এমনকী, ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী’ তকমা পাওয়া হাফিজ সইদকে ‘রাজনৈতিক বৈধতা’ দিয়েছে পাকিস্তান। শুধু তাই নয়, মুম্বই হামলার মূলচক্রী প্রকাশ্যে রাজনৈতিক দল গড়ে ভোটে লড়াই করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। হাফিজকে নিষিদ্ধ করার বদলে বহাল তবিয়তে ঘোরার পিছনে পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ হাত রয়েছে বলেই মনে করে ভারত। তবে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় মোদি সরকার অসাধারণ পদক্ষেপ করেছে বলেও জানিয়েছেন রাজনাথ। বলেছেন, “আন্তর্জাতিক মঞ্চে আগে কেউ সন্ত্রাসবাদের পিছনে পাকিস্তান রয়েছে, একথা বলত না। কিন্তু আমেরিকাও এখন পাকিস্তানের তীব্র সমালোচনা করে।”
[ ‘আইনস্টাইনের থিওরির চেয়েও বেদকে বড় বলে মেনে নিয়েছিলেন হকিং’ ]
The post ‘দেশ বাঁচাতে প্রয়োজনে সীমান্ত পেরিয়েও হামলা চালাবে সেনা’ appeared first on Sangbad Pratidin.