সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লিতে চলা কৃষক আন্দোলন (Farmer’s Protest) নিয়ে কানাডা অযথা নাক গলানোয় ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ নিল ভারত সরকার। ১৫ ডিসেম্বর কানাডার (Canada) বিদেশসচিবের বৈঠকে বসার কথা ছিল বিদেশমন্ত্রকের বাঙালি মহিলা সচিব রিভা গঙ্গোপাধ্যায় দাসের। তিনি পূর্ব এশিয়া বিভাগের সচিব। সেই বৈঠক বাতিল করে দেয় ভারত।
ভারত সরকার আগেই জানিয়েছিল, কৃষক আন্দোলন পুরোপুরি ভারতের ঘরোয়া ব্যাপার। তা নিয়ে মন্তব্য করে এবং আন্দোলনের সমর্থনে বার বার বিবৃতি দিয়ে কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নাক গলানোর অধিকার কোনও দেশের নেই। কানাডার পদক্ষেপের প্রতিবাদ করতেই এই কড়া পদক্ষেপ করল ভারত।
[আরও পড়ুন : দিশেহারা ইমরান! দেশ চলেছে ভুল পথে, মনে করছেন ৭৭ শতাংশ পাকিস্তানি]
কানাডাকে কড়া বার্তা দিতেই এই কমনওয়েলথ পর্যায়ের বৈঠক বাতিল করল ভারত। বুঝিয়ে দিল, ভারতের কৃষক আন্দোলনে কানাডার মাথা গলানো ভারত সরকার ভালভাবে নিচ্ছে না। বিদেশমন্ত্রকের পর্যবেক্ষণ, কানাডায় কয়েক লক্ষ শিখের বাস। এঁরা বিরাট ভোটব্যাংক। আগামী বছর কানাডায় হঠাৎ করেই সাধারণ নির্বাচন হতে পারে। তার আগে কানাডার তিনটি প্রধান রাজনৈতিক দল শিখ সম্প্রদায়কে তুষ্ট করতে প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছে। সেই কারণেই কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে গলা ফাটাচ্ছে কানাডার রাজনৈতিক দলগুলি। কারণ কৃষক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন পাঞ্জাবের কৃষকরা।
উল্লেখ্য, গুরুপূর্ণ উপলক্ষ্যে শিখ বংশোদ্ভূত কানাডিয়ানদের উদ্দেশ্যে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছিলেন ট্রুডো। সেখানেই তিনি বলেছিলেন, কৃষক আন্দোলনে তাঁর পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। কারণ যে কোনও গণতন্ত্রের নাগরিকদের অধিকার আছে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের। এর প্রতিবাদে আগেই কানাডার নেতৃত্বাধীন কোভিড সংক্রান্ত বৈঠক থেকে সরে দাঁড়িয়েছিল ভারত। যোগ দেননি বিদেশমন্ত্রী। তাতেও অবশ্য দমেনি কানাডার প্রধানমন্ত্রী-সহ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। বারবারই কৃষক আন্দোলনের সমর্থনের পক্ষে সুর চড়িয়েছেন তাঁরা।