সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তালিবান (Taliban)শাসিত আফগানিস্তান এই মুহূর্তে মধ্য এশিয়ার সবচেয়ে বড় মাথাব্যথার কারণ। তা নিয়ে উদ্বিগ ভারতও। এই অবস্থায় উপমহাদেশে স্থায়ী শান্তি বজায় রাখতে আরও শক্ত করে হাতে হাত রেখে কাজ করতে হবে। বৃহস্পতিবার মধ্য এশিয়ার সম্মেলনে উদ্বোধনী ভাষণে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এ বছর ভারতের সঙ্গে মধ্য এশিয়ার সম্পর্কের ৩০ তম বর্ষ। প্রথম বৈঠকেই ভারতকে বক্তব্য পেশে এগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিনের ভারচুয়াল সম্মেলনে হাজির ছিলেন কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান, কিরঘিজ, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তানের রাষ্ট্রপ্রধানরা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ভারচুয়াল সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ”গত কয়েক দশক ধরে আমাদের নিজেদের মধ্যে সমন্বয় একাধিক বিষয়ে সাফল্যের পথে এগিয়ে দিয়েছে। এবার আমাদের লক্ষ্য স্থির করতে হবে। এমন এক লক্ষ্য যাতে আমাদের তরুণ প্রজন্মের স্বপ্ন সফল করতে পারে।” এরপর মোদি আফগানিস্তানের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। তাঁর বক্তব্য, ”আফগানিস্তানে ধারাবাহিকভাবে যা যা ঘটে গেল, তাতে আমরা উদ্বিগ্ন। আর এই ক্ষেত্রেই আমাদের অর্থাৎ অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলির পারস্পরিক সমন্বয় অতি প্রয়োজন। এই অঞ্চলের নিরাপত্তা এবং স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”
[আরও পড়ুন: বাংলা-সহ ৬ রাজ্যে কমছে করোনার দাপট, ওমিক্রন আতঙ্কের মাঝেই জানাল কেন্দ্র]
এদিনের বক্তব্যে মূলত তিনটি বিষয়ের উপর বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছেন মোদি। আফগানিস্তান ও উপমহাদেশে শান্তি বজায়। কাজাখস্তানের সাম্প্রতিক ইস্যুতে পাশে দাঁড়ানো, যেহেতু এই দেশ ভারতের তৈল আমদানির বড় অংশ এবং গোটা মধ্য এশিয়ার সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে একটি নির্দিষ্ট রোডম্যাপ তৈরি করা। মোদির বক্তব্য শেষের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিদেশ মন্ত্রকের সচিব (পশ্চিম) রিনত সান্ধু। তিনি বলেন, ”আমাদের মূল ফোকাস আফগানিস্তান। এখানকার অবস্থা পরিপ্রেক্ষিতে আমরা শান্তিপূর্ণ এবং স্থায়ী আফগানিস্তান প্রত্যাশা করি। মধ্য এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গেও এই লক্ষ্য নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।”