সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আড়াই বছর পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে রক্তক্ষয়ী লড়াই থামেনি। হামলা পালটা হামলা, মৃত্যুমিছিল সবকিছুই অব্যাহত। এই পরিস্থিতিতে হঠাৎই যুদ্ধবিরতির কথা শোনা গেল রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের গলায়! তবে যুদ্ধ থামানোর জন্য তিনি ভরসা করতে চাইছেন ভারত, চিন, ব্রাজিল- এই তিন দেশের উপরে।
গত আগস্টে ইউক্রেন সফরে গিয়েছিলেন মোদি। সেই সময়ই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, তিনি চান ভারসাম্য রক্ষার কূটনীতির বদলে সরাসরি তাঁদের পাশেই এসে দাঁড়াক ভারত। সেই সুরেই সুর মেলালেন পুতিনও। বৃহস্পতিবার তিনি জানিয়েছেন, তিনি চান ভারত-সহ তিন দেশ মধ্যস্থতাকারী হয়ে সম্ভাব্য শান্তি আলোচনায় অংশ নিক রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে। রুশ প্রেসিডেন্ট মনে করিয়ে দিয়েছেন, যুদ্ধ শুরু হওয়ার প্রথম সপ্তাহেই দুই দেশের মধ্যে প্রাথমিক ভাবে আলোচনা হয়েছিল যুদ্ধবিরতি নিয়ে।
[আরও পড়ুন: পলিগ্রাফে দশ প্রশ্ন, লাই ডিটেক্টরের সামনেও সিবিআইকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা সঞ্জয়ের]
কিন্তু তার পর তা আর এগোয়নি। এখন চাইলে সেই আলোচনাকেই এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়।
প্রসঙ্গত, গত জুনেই যুদ্ধবিরতির কথা শোনা গিয়েছিল পুতিনের মুখে। যুদ্ধ থামানোর জন্য কয়েকটি শর্ত বেঁধে দেন তিনি। যা মানতে হবে ইউক্রেনকে। তাহলেই ছেদ পড়বে এই সংঘর্ষে। ২০২২ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে বিশেষ সামরিক অভিযান ঘোষণা করেন পুতিন। বাঁধভাঙা জলের জেলেনস্কির দেশে ঢুকে পড়ে রুশ ফৌজ। তার পর থেকে জারি রয়েছে লড়াই। এবার ফের যুদ্ধবিরতির প্রসঙ্গ তুললেন পুতিন। কিন্তু পাশে চাইলেন ভারত-সহ তিন দেশকে।
কিন্তু হঠাৎ কেন এমন কথা বলছেন রুশ প্রেসিডেন্ট? আসলে রাশিয়াকে পালটা মার দিয়ে রণক্ষেত্রের ছবি বদলে দিয়েছে ইউক্রেন। রাশিয়ার কার্স্ক অঞ্চলে ঢুকে অভিযান চালাচ্ছে ইউক্রেনীয় ফৌজ। রুশ ভূখণ্ডের প্রায় হাজার স্কোয়ার কিলোমিটারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে কিয়েভ। ফলে প্রবল চাপে পড়েছে পুতিন বাহিনী। তাই হয়তো সুর নরম করছেন তিনি। এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।