সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এশিয়ান কাপে গ্রুপ পর্বে হারের হ্যাটট্রিকের পরও ভারতীয় দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী জাতীয় কোচ ইগর স্টিমাচ (Igor Stimac)। সামনেই বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের ম্যাচ। ভারতের গ্রুপে কাতার, কুয়েত আর আফগানিস্তান রয়েছে। প্রতি গ্রুপ থেকে দুটি করে দল পরবর্তী রাউন্ডে যাবে। স্বাভাবিকভাবে প্রতিযোগিতার একটি ম্যাচ জিতে লিগ টেবিলের তৃতীয় স্থানে থাকা সুনীল ছেত্রীদের পরের রাউন্ডে যাওয়ার আশা এখনও রয়েছে।
বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে (FIFA World Cup Qualifier) মার্চে ভারত হোম ও অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। এরপর জুনে কুয়েতের বিরুদ্ধে খেলা। এশিয়ান কাপে হারের হ্যাটট্রিকের পর যখন ভাবা গিয়েছিল হতাশায় ভেঙে পড়বেন সুনীল ছেত্রীরা, ঠিক তখনই আশার বাণী ভারতীয় (Indian Football Team) কোচের গলায়। তিনি বলেন, “আগামী ১২ মাসে আমি ভারতকে বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের তৃতীয় রাউন্ডে নিয়ে যাব। সেই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। তবে দ্রুত ভারতীয় ফুটবলে আরও লগ্নি প্রয়োজন। একইসঙ্গে বিদেশি কোচেদের এনে এখানকার ফুটবল অ্যাকাডেমিগুলোর দায়িত্ব দেওয়া উচিত। তবে উন্নতি রাতারাতি সম্ভব নয়। সবাইকে ধৈর্য্য ধরতে হবে।”
[আরও পড়ুন: ফের বিয়ে করবেন সানিয়া? কেমন থাকবে শোয়েব-সানার দাম্পত্য জীবন? ভবিষ্যদ্বাণী জ্যোতিষীর]
মঙ্গলবার সিরিয়ার কাছে ০-১ গোলে হারের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে স্টিমাচ বলেন, “আমাদের পরিকল্পনা ছিল গোল না খেয়ে ষাট মিনিট পর্যন্ত ম্যাচ ধরে রেখে তারপর পরিবর্ত ফুটবলারদের দিয়ে ভালো কিছু করা। কিন্তু সেই পরিকল্পনা খাটেনি। এই স্তরের প্রতিযোগিতায় আমরা ভালো ফল করলেও স্ট্রাইকাররা সেভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি।” এশিয়ান কাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর জাতীয় কোচ সমর্থকদের উদ্দেশে দীর্ঘ বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমি সমর্থকদের হতাশা বুঝতে পেরেছি। আমাদের অনুভূতিও একই রকম। ছেলেরা এই প্রতিযোগিতায় নিজেদের দক্ষতা অনুযায়ী মেলে ধরতে পারেনি। যদিও আমি জানি ওরা নিজেদের সেরাটা দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। এই ধরনের প্রতিযোগিতায় নামার আগে প্রস্তুতি হিসাবে উন্নতমানের দলের সঙ্গে নিয়মিত খেলা উচিত আমাদের।”
এই ব্যর্থতার বিশ্লেষণ করতে গিয়ে তিনি যোগ করেন, “ভারত এখনও পর্যন্ত অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপে যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। আমরা যদি বয়সভিত্তিক স্তরে যোগ্যতা অর্জন করতে না পারি তাহলে সিনিয়র পর্যায়ে ভালো ফল আশা করা কঠিন। আমাদের বয়সভিত্তিক স্তরে আরও ভালো ভালো প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া উচিত। বিশেষ করে ১৭ ও ১৮ বছর বয়সের ফুটবলারদের জন্য। ওরা শিখুক কঠিন পরিস্থিতি কীভাবে সামলাতে হয়।”