সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জনপ্রিয় লেখক সলমন রুশদির (Salman Rushdie) উপরে প্রাণঘাতী হামলা নিয়ে প্রথমবার মুখ খুলল ভারত। এই হামলার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে নয়াদিল্লির তরফে। সেই সঙ্গে লেখকের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে বার্তা দিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী। তিনি বলেছেন, হিংসার বিরুদ্ধে বরাবর সরব হয়েছে ভারত।
গত ১২ আগস্ট নিউ ইয়র্কের একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার সময়ে আচমকা রুশদির উপরে হামলা (Salman Rushdie Attack) চালায় এক আততায়ী। বারবার ছুরির কোপ মারা হয় বর্ষীয়ান লেখকের উপরে। গুরুতরভাবে আহত হন রুশদি। সেই ঘটনার তেরো দিন কেটে যাওয়ার পরে সরকারি ভাবে রুশদির উপরে হামলা নিয়ে বিবৃতি দিল ভারত। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেছেন, “সবসময়ই হিংসা এবং চরমপন্থার বিরোধিতা করেছে ভারত। সলমন রুশদির উপরে প্রাণঘাতী হামলার তীব্র নিন্দা করছি আমরা। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবেন তিনি।”
[আরও পড়ুন: মেঘালয়ে ট্যাক্সি ড্রাইভার খুন, গ্রেপ্তার ‘আই লাভ ইউ’]
নিউ ইয়র্কের চাউটাউকুয়া ইন্সটিটিউশনে ভাষণ দিতে গিয়েছিল রুশদি। ঠিক ছিল সেখানে ‘আমেরিকায় শরণার্থী লেখকেরা’ বিষয়ের উপর প্রখ্যাত সাহিত্যিকের সঙ্গে কথা বলবেন সঞ্চালক হেনরি রিস ৷ আলোচনা হওয়ার কথা ছিল আগামী বছর প্রকাশ্যে আসতে চলা রুশদির উপন্যাস ‘ভিক্ট্রি সিটি’ নিয়েও৷ কিন্তু সে সব অধরাই থেকে যায়৷ মঞ্চে আসতেই তাঁর দিকে তেড়ে যায় হাদি মাতার এক ব্যক্তি। এই অতর্কিত আক্রমণে স্তম্ভিত হয়ে যান সকলেই। অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে রুশদিকে উপর্যুপরি ছুরির আঘাত করে আততায়ী।
হাদি মাতারের বয়স ২৪। সে নিউ জার্সির বাসিন্দা। ইরানের ইসলামিক রেভিলিউশনারি গার্ড তথা IRGC-রও সমর্থক সে। হাদি জানিয়েছে, খোমেইনির ভক্ত সে। ১৯৮৯ সালে রুশদির উপন্যাস ‘স্যাটানিক ভার্সেস’ নিয়ে বিতর্ক শুরু হলে তাঁকে হত্যার ফতোয়া জারি করে বিপুল পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন খোমেইনি। যদিও ইরান এই হামলায় তাদের জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। এমনকী রুশদি সুস্থ হয়ে উঠছেন শুনে খুবই বিস্মিত হাদি।