সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সদ্য দু’দিনের কাশ্মীর সফর সেরে ফিরেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। উপত্যকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে এসেছেন তিনি। তারপরই কাশ্মীরে জঙ্গিদমনে বড়সড় পদক্ষেপ করল কেন্দ্র। সেনা সূত্রে খবর, কাশ্মীরের নিরাপত্তার জন্য আরও ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হচ্ছে। যা উপত্যকার বিভিন্ন প্রান্তে মোতায়েন করা হবে।
[আরও পড়ুন: চাঁদের কক্ষপথে পা, ১৪ আগস্ট মাঝরাতে স্বাধীনতার স্বাদ চন্দ্রযানের]
পুলওয়ামা হামলা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার আর স্থলপথে সেনা জওয়ানদের পাঠানো হচ্ছে না। ১০০ কোম্পানি বাহিনীকেই নিয়ে যাওয়া হবে আকাশপথে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইতিমধ্যেই সেনা জওয়ানদের উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, অতিরিক্ত ১০ হাজার সেনা জওয়ানরা গোটা কাশ্মীরজুড়ে অভিযান চালাবে। মূলত, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের নির্দেশেই এই বিশাল বাহিনী পাঠানো হচ্ছে উপত্যকায়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, মূলত পাক অনুপ্রবেশ রুখতেই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। কাশ্মীরের ডিজিপি দিলবাগ সিং জানিয়েছেন, “উত্তর কাশ্মীরে মোতায়েন সেনা জওয়ানের সংখ্যাটা বেশ কম। সেজন্যই আমাদের অতিরিক্ত বাহিনী প্রয়োজন। তাই ১০০ কোম্পানি সেনা জওয়ানকে উড়িয়ে আনা হচ্ছে। আমরাও তেমনটাই চেয়েছিলাম।” উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই অমরনাথ যাত্রা উপলক্ষে অতিরিক্ত ৪০ হাজার আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল উপত্যকায়। যার জেরে কোনওরকম দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: সাতসকালে কাশ্মীরে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই, মৃত ২ জেহাদি]
কিন্তু, কেন হঠাৎ সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা? ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এর মূলত দুটি কারণ। প্রথমত বছরের এই সময় প্রথাগতভাবে পাকিস্তান থেকে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের পরিমাণ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। আসলে মাস চারেকের মধ্যেই অতিরিক্ত বরফ পড়ার কারণে, পির পঞ্জাল পাস-কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। তাই তাঁর আগেই জঙ্গিরা ভারতে ঢুকে যায়। এবার সেটাই বন্ধ করতে চাইছে ভারত। তাছাড়া এবছরের শেষেই কাশ্মীরে নির্বাচন হওয়ার কথা। সেদিকে মাথায় রেখেই নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে।
The post কাশ্মীরে ‘আয়রন হ্যান্ড’ পলিসি কেন্দ্রের, পাঠানো হচ্ছে ১০ হাজার সেনা appeared first on Sangbad Pratidin.