সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের নিরাপত্তায় বড় পদক্ষেপ করল ভারত। পড়শি চিন ও পাকিস্তানকে নজরে রেখে এবার সরিয়ে দেওয়া হল সোভিয়েত জমানার মিগ-২১ যুদ্ধবিমানগুলিকে। বদলে ভূস্বর্গের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে মোতায়েন করা হল অত্যাধুনিক মিগ-২৯ ফাইটার জেট।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, শ্রীনগর বায়ুসেনা ঘাঁটিতে মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে বায়ুসেনা। ফলে এবার উপত্যকার সুরক্ষা ও প্রতিপক্ষকে পালটা মার দেওয়ার দায়িত্ব গেল ‘ট্রাইডেন্ট স্কোয়াড্রন’-এর হাতে। বাংলা তর্জমায় ট্রাইডেন্ট হল ত্রিশুল। শিবের বিধ্বংসী হাতিয়ারের নামেই এই স্কোয়াড্রনটির নামকরণ। উল্লেখ্য, কাশ্মীর ও লাদাখে চিন ও পাকিস্তানকে নিয়েই উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি। বালাকোটে সার্জিকাল স্ট্রাইকের পর থেকেই কাশ্মীরে একযোগে দুই পড়শি দেশের হামলার মোকাবিলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ফৌজ।
দীর্ঘদিন ধরেই কাশ্মীরের সুরক্ষার ভার সামলেছে মিগ-২১ বিমানগুলি। এই বিমানে চড়েই পাকিস্তানের অত্যাধুনিক এই-১৬ যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেন ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলট অভিনন্দন বর্তমান। বলে রাখা ভাল, ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আত্মঘাতী বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) পুলওয়ামা। প্রাণ হারিয়েছিলেন ৪০ জন সেনা জওয়ান। পরে ওই হামলার দায় স্বীকার করেছিল পাকিস্তানি মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ (JeM)। তারপরই বালাকোটে সার্জিকাল স্ট্রাইক চালায় ভারত। তবে চার বছর পরেও টাটকা পুলওয়ামা হামলার দগদগে স্মৃতি।
[আরও পড়ুন: গণপিটুনিতে খুনে মৃত্যুদণ্ড! নতুন আইন আনছে মোদি সরকার]
উল্লেখ্য, ভারতীয় বায়ুসেনা এবং নৌসেনা- উভয়েই এই মিগ-২৯ (Mig-29) যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে। বিমানগুলিতে রয়েছে অত্যাধুনিক মিসাইল যা দৃষ্টিসীমার বাইরে গিয়েও আঘাত হানতে সক্ষম। ভারতীয় নৌসেনার এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার বা বিমানবাহী রণতরী থেকেও এই বিমানের একটি সংস্করণ উড়ান ভরতে ও হামলা চালাতে সক্ষম। কার্গিল যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের যুদ্ধবিমানগুলিকে কার্যত পর্যুদস্ত করেছিল মিগ-২৯।