সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কখনও গোমতী তো কখনও ফারাক্কা। ভয়ংকর বন্যার জন্য বার বার ভারতকে দায়ী করেছে বাংলাদেশ। ভারতকে দুষে সোশাল মিডিয়াতেও চলছে লাগাতার প্রচার। ত্রিপুরার ডম্বুর জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাঁধ খোলায় নিজেদের বক্তব্য আগেই স্পষ্ট করেছিল ভারত। এবার ফারাক্কা ব্যারেজ খোলা নিয়ে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র জানালেন, বাংলাদেশকে জানিয়েই ছাড়া হয়েছে জল।
সোমবার প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, 'অনেক ফেক ভিডিও, গুজব, সোশাল মিডিয়ায় ছড়ানো হচ্ছে। যেখানে দাবি করা হয়েছে, ফরাক্কা ব্যারাজ থেকে ১১ লক্ষ কিউসেক জল গঙ্গায় বা পদ্মায় ছাড়া হয়েছে। কিন্তু এটা প্রতি বছরই হয়। বর্ষায় জলস্তর বেড়ে যায়। ফরাক্কা ড্যাম নয়, ব্যারাজ। নির্দিষ্ট স্তরের পর জল বয়ে যাবে সেটাই স্বাভাবিক। প্রতিবারের মতো এবারও নিয়ম মেনে বাংলাদেশের জয়েন্ট রিভার কমিশনের আধিকারিকের সঙ্গে তথ্য আদানপ্রদান করেই সমস্তটা করা হয়।' পাশাপাশি আরও জানানো হয় নিয়ম মেনে ৪০ হাজার কিউসেক জল পাশ করানো হয়েছে বলেও জানানো হয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে।
[আরও পড়ুন: মরচে ধরা নাট বল্টু, ইস্পাতে জং! ৩৬০০ কোটির শিবাজির পতনের নেপথ্যে দুর্নীতির ইঙ্গিত]
উল্লেখ্য, এর আগে ত্রিপুরার ডম্বুর জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাঁধ খোলা নিয়ে একইভাবে গুজব ছড়ানো হয়েছিল সোশাল মিডিয়ায়। সেই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার বিবৃতি দেয় বিদেশমন্ত্রক। যেখানে বলা হয়, 'ত্রিপুরার ডম্বুর জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাঁধ খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশে বন্যা হচ্ছে বলে যে দাবি করা হচ্ছে তা ঠিক নয়। দুদেশের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত গোমতী নদী সংলগ্ন এলাকায় গত কয়েকদিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়। যার জেরে জল ছাড়তে হয়। তবে বাংলাদেশকে না জানিয়ে জল ছাড়া হয়নি বলেও জানায় ভারত।
[আরও পড়ুন: সিসোদিয়ার পর এবার কে কবিতা, আবগারি মামলায় সুপ্রিম নির্দেশে জামিন পেলেন বিআরএস নেত্রী]
এদিকে প্রবল বৃষ্টির জেরে ভয়াবহ বন্যায় ভাসছে বাংলাদেশ। সেখানকার সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বন্যায় বাংলাদেশের ৮ জেলা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জলবন্দি হয়ে পড়েছে ৪ লক্ষ ৪০ হাজার ৮৪০টি পরিবার। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ২৯ লক্ষ মানুষ। লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা।