সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মোদি জমানায় বেকারত্বের নিরিখে পাকিস্তানকেও ছাপিয়ে গিয়েছে দেশ। রবিবার মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) গোয়ালিয়রে জনসভায় উপস্থিত হয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের (BJP Government) বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করলেন কংগ্রেস সাংসদ (Congress MP) রাহুল গান্ধী । শুধু তাই নয়, সোনিয়া তনয়ের আরও দাবি, গত ৪০ বছরের মধ্যে বর্তমানে বেকারত্বের সর্বোচ্চ বোঝা ঠেলছে ভারত (India)। পাকিস্তান তো বটেই পরিস্থিতি বাংলাদেশ, ভুটানের চেয়েও খারাপ।
এদিন ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা উপলক্ষে মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে এক জনসভা থেকে দেশের অর্থনীতির বেহাল ছবিটা তুলে ধরে রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) বলেন, “নরেন্দ্র মোদি সরকারের অপরিকল্পিত অর্থনৈতিক নীতির জেরেই দেশের বেকারত্ব শোচনীয় আকার নিয়েছে। এনডিএ সরকারের নোটবন্দি, জিএসটির মতো পদক্ষেপের ফলে ছোট ব্যবসায়ীরা ধ্বংস হয়ে গিয়েছেন। লাফিয়ে বেড়েছে দেশের বেকারত্ব। পরিকল্পিতভাবে বড় বড় ব্যবসায়ীদের একচেটিয়া ব্যবসা করার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী দেশের সব সম্পত্তি একজন ব্যবসায়ীর হাতে তুলে দিয়েছেন। পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়েছে যে, পাকিস্তানের চেয়ে দ্বিগুণ আকার নিয়েছে ভারতের বেকারত্ব। বাংলাদেশ, ভুটানকেও তা ছাপিয়ে গিয়েছে।” রাহুল গান্ধীর বক্তব্য যে একেবারেই ভুল নয়, ২০২২ সালের বিশ্ব ব্যাঙ্কের রিপোর্টে উঠে এসেছে সে তথ্য। আন্তর্জাতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে যেখানে বেকারত্বের হার ২৩.২২ শতাংশ, সেখানে প্রতিবেশী পাকিস্তানে বেকারত্বের হার ১১.৩ শতাংশ, বাংলাদেশে ১২.৯ শতাংশ।
[আরও পড়ুন: দলীয় তহবিলে ২০০০ টাকা দান ‘ফকির’ মোদির, দেশ গঠনে মুক্তহস্ত হওয়ার অনুরোধ সর্বসাধারণকে]
এখানেই থামেননি ওয়ানড়ের কংগ্রেস সাংসদ। দেশের কৃষকদের ভয়ংকর অবস্থার কথা তুলে ধরে রাহুল আরও বলেন, দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক-সহ নানা ক্ষেত্র মোদি সরকারের অবিচারের শিকার। দেশের কৃষকদের সঙ্গে চরম অবিচার করা হচ্ছে। পাশাপাশি জাতিগণনার প্রসঙ্গ তুলে মোদি সরকারকে তোপ দেগে রাহুল বলেন, “এই সরকার চায় না যে জাতি গণনা হোক। তাহলে সত্যটা প্রকাশ্যে চলে আসবে। দেশের একাধিক ব্যবসায়িক ক্ষেত্র আর অনগ্রসর শ্রেণির মালিকানাধীন নয়। জাতিগণনা হল দেশের এক্স-রে রিপোর্ট। এতে কারও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু ওরা (বিজেপি) চায় না সত্যটা প্রকাশ্যে আসুক।”