সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বক্রিকেটে ‘চোকার্স’ হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু এবার হয়তো ভারতকেই ‘চোকার্স’ বলা শুরু করবে ক্রিকেট বিশ্ব। কারণ, একবার বা দু’বার নয়, টানা ৫ টি বড় টুর্নামেন্টের নক-আউট পর্বেই ছিটকে গিয়েছে ভারত। শেষবার ভারত আইসিসি ট্রফি জিতেছিল ২০১৩ সালে। সেটা ছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, ইংল্যান্ডের মাটিতেই এসেছিল সেই সাফল্য। তারপর থেকে লাগাতার আইসিসি আয়োজিত টুর্নামেন্টগুলিতে নক-আউট পর্ব থেকে ছিটকে যাচ্ছে ভারত। যা প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেটারদের মানসিকতা নিয়েই।
[আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে ফের আম্পায়ারিং বিতর্ক, ধোনির রান আউট নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন]
শুরুটা হয়েছিল ২০১৪ সালে বাংলাদেশে আয়োজিত টি-২০ বিশ্বকাপে। গ্রুপ পর্বে পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর পর অপ্রতিরোধ্য মনে হচ্ছিল ধোনির ভারতকে। কিন্তু, ফাইনালে মালিঙ্গার শ্রীলঙ্কার হাতে পর্যুদস্ত হতে হল টিম ইন্ডিয়াকে। প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ১৩০ রানে আটকে গেল ভারত। সঙ্গকারা-জয়বর্ধনের শ্রীলঙ্কা সেই রান টপকে গেল অনায়াসে।
এরপর ২০১৫ বিশ্বকাপ। গ্রুপ পর্বে গত বিশ্বকাপেও অপ্রতিরোধ্য ছিল ভারত। মনে হচ্ছিল বিশ্বকাপ উঠতে পারে ভারতের হাতেই। কিন্তু, সেমিফাইনালে আবারও অস্ট্রেলিয়ার হাতে পরাস্ত হল টিম ইন্ডিয়া। রোহিত-শিখর জুটি ভাল শুরু করলেও চূড়ান্ত ব্যর্থ হন কোহলি।
২০১৬ টি-২০ বিশ্বকাপে আবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এবারে ভারতই ছিল আয়োজক দেশ। এবারেও হার সেমিফাইনালে। প্রথমে ব্যাট করে ভারত ১৯২ রানের স্কোর খাড়া করে। কিন্তু ক্যারিবিয়ান দৈত্যরা সেই রান টপকে যায় দুই বল বাকি থাকতে। ব্যর্থ হয় ভারতীয় বোলিং।
[আরও পড়ুন: জঘন্য দল নির্বাচনেই সব শেষ! দাদি বা দ্রাবিড়কে কোচ করার দাবি লক্ষ্মীরতন শুক্লার]
২০১৭-র ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির হারের জ্বালা এখনও জুড়োয়নি ভারতীয় সমর্থকদের। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করে মেন ইন ব্লু’র ব্যাটিং। প্রথমে ব্যাট করে ফখর জামানের শতরানে ভর করে ৩৩৮ রান তোলে পাকিস্তান। জবাবে মাত্র ১৫৮ রানে গুটিয়ে যায় ভারতের ব্যাটিং।
তারপর এবারের বিশ্বকাপে হার। নক আউটে লাগাতার এই ব্যর্থতা যেন ভারতকে ঠেলে দিচ্ছে চোকার্স তকমার দিকে। দলের মতোই লজ্জাজনক অধিনায়ক কোহলির ব্যক্তিগত পরিসংখ্যানও। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে এখনও পর্যন্ত কোহলির সংগ্রহ করা রানগুলো যথাক্রমে ৯(২০১১) , ১(২০১৫), ১ (২০১৯)। গড় ৩.৬৭। এমনিতে ওয়ানডে ক্রিকেটে ব্র্যাডম্যানসুলভ তিনি। ষাটের কাছাকাছি গড়। কিন্তু যেই বিশ্বকাপের নকআউট ম্যাচ আসে কোথায় কিছু নিশ্চয়ই ঘটতে থাকে নইলে স্কোরগুলো এমন দেখাবে কেন? ২৪, ৯, ৩৫, ৩, ১, ১। মোট ৭৩। গড় ১২.১৬। স্ট্রাইক রেট ৫৬.১৫। সুতরাং, এই ব্যর্থতার জবাব হয়তো বিরাটকেও দিতে হবে।
The post নক-আউটে পরপর হার, বিশ্বক্রিকেটে ‘চোকার্স’ তকমাটা কি এবার ভারতের প্রাপ্য? appeared first on Sangbad Pratidin.