সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রকৃতির খামখেয়ালিপনা প্রভাব ফেলছে ফসল তথা খাদ্য উৎপাদনে। দেশের কোথাও অতিবৃষ্টি তো কোথাও অনাবৃষ্টি। এর জেরে শস্য ও সবজির মতো খাদ্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। দাম নিয়ন্ত্রণে আসরে নামতে হচ্ছে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের সংশ্লষ্ট মন্ত্রক এবং দপ্তরকে। যদিও শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি করলেন, খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশে পরিণত হয়েছে ভারত। এমনকী গোটা বিশ্বের খাদ্য এবং পুষ্টি নিরাপত্তা দিতে কাজ করছে দেশ। কোন যুক্তিতে একথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী?
শনিবার ৩২তম আন্তর্জাতিক কৃষি অর্থনীতিবিদ সম্মেলনে যোগ দেন মোদি। ৬৫ বছর পর ভারতে অনুষ্ঠিত হল এই সম্মেলন। সেখানে প্রধনমন্ত্রী জানান, ভারতের অর্থনীতির কেন্দ্রে রয়েছে কৃষি। জলবায়ু-সহনশীল কৃষিতে জোর দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৪-২৫-এ। এখন লক্ষ্য হল দেশের কৃষকদের সাহায্য করতে একটি সম্পূর্ণ ইকোসিস্টেম তৈরি করা। মোদি বলেন, "ভারত এখন একটি খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশ হয়ে উঠেছে। দুধ, ডাল ও মসলা উৎপাদনে বিশ্বে এক নম্বর আমরা।" এছাড়াও, খাদ্যশস্য, ফলমূল, শাকসবজি, তুলো, চিনি এবং চা উৎপাদনে দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ হয়ে উঠেছে ভারত।
[আরও পড়ুন: ওয়ানড়ে ধ্বসস্তূপের আড়ালে জীবিত কেউ নেই তো? খোঁজ করছে ডিপ সার্চ রাডার]
৭০টি দেশ থেকে আসা ১০০০ হাজার প্রতিনিধির সামনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "একটা সময় ছিল যখন ভারতের খাদ্য নিরাপত্তা বিশ্বের জন্য উদ্বেগের বিষয় ছিল। এখন ভারত বিশ্বের খাদ্য এবং পুষ্টি নিরাপত্তা দিতে কাজ করছে।" মোদি আরও বলেন, খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তর নিয়ে আলোচনার জন্য ভারতের অভিজ্ঞতা মূল্যবান, এতে উপকৃত হবে বিশ্ব। গত দশ বছর গেরুয়া সরকার এই কারণেই কৃষিক্ষেত্র জোর দিয়েছে, দাবি করেন তিনি। যদিও ভারতের খাদ্যপণ্যের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।
প্রসঙ্গত, বিশ্ব ক্ষুধা সূচকেও ভারতের অবস্থান বিপজ্জনক। আয়ারল্যান্ডের দু’টি বেসরকারি সংস্থা ২০২৩ সালের অক্টোবরে নমুনা সমীক্ষার ভিত্তিতে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। ওই রিপোর্ট অনুসারে ক্ষুধা সূচকে ভারতের স্থান ১২৬টি দেশের মধ্যে ১১১। গত চার বছরে ভারতের অবনতি ঘটেছে দ্রুত— ৯৪ থেকে ১০১ হয়ে গত বছর ছিল ১০৭। নেপাল, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের মতো প্রতিবেশী দেশের থেকেও পিছিয়েছে ভারত।