সুকুমার সরকার, ঢাকা: ক্ষমতায় এসেই ‘প্রতিবেশি প্রথম’ নীতিতে জোর দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফের সেই কথা মনে করিয়ে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা জানিয়েছেন বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে ভারত।
বুধবার ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভার্মা। তিনি বলেন, “প্রতিবেশী দেশগুলির জন্য ভারতের একটি নীতি রয়েছে। আর যে কোনও বিষয়ে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার পায় বাংলাদেশ।” বাংলাদেশকে ভারতের ‘খুব ভাল বন্ধু’ উল্লেখ করে হাইকমিশনার বলেন, “এই অঞ্চলে সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ ও ভারত একসঙ্গে কাজ করবে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য ও যোগাযোগ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারত বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা দেবে।”
[আরও পড়ুন: নদীতে জাল ফেললেই মিলছে কঙ্কাল-খুলি, এগারো মাসে বাংলাদেশে উদ্ধার ৩২৫টি লাশ]
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুস্পষ্টভাবে প্রণয় ভার্মাকে বলেছেন, “বাংলাদেশ কখনওই সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেয়নি। সন্ত্রাসের কোনও ধর্ম ও সীমানা নেই।” আলোচনা চলাকালীন শেখ হাসিনা বার্তা দিয়েছেন, আওয়ামি লিগ কখনও সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেয় না এবং বাংলাদেশের মাটিকে কখনওই এই উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে দেয় না। বাংলাদেশ ও ভারত আলোচনার মাধ্যমে তিস্তা নদীর জল বণ্টন-সহ অমীমাংসিত সব সমস্যার সমাধান করতে পারে। তিনি ভারতীয় ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের একশোটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশকে কাছে টানতে তৎপর চিন। জল্পনা উসকে গত আগস্ট মাসে ঢাকা সফরে আসেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি। এই গোটা ঘটনাবলির উপরই অত্যন্ত তীক্ষ্ণ নজর রেখেছে ভারত। পড়শি দেশে বেজিংয়ের গতিবিধিতে সাউথ ব্লক যে যথেষ্ট সন্দিহান তা স্পষ্ট। এহেন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ জানিয়েছিলেন, ভারতের সঙ্গে ‘রক্তের সম্পর্ক’ রয়েছে বাংলাদেশের। চিনের সঙ্গে সখ্যতায় এতে কোনও প্রভাব পড়বে না।