সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতকে অন্ধকারে রেখেই দোহায় তালিবানের সঙ্গে চুক্তি সই করেছিল আমেরিকা (America)। ভারত-আমেরিকা কৌশলগত সহযোগিতা সংক্রান্ত এক অনুষ্ঠানে এমনটাই জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।
[আরও পড়ুন: স্কুল খোলার দাবিতে মহিলাদের প্রতিবাদ আফগানিস্তানে, মিছিলে গুলি তালিবানের]
বৃহস্পতিবার ‘US-India Strategic Partnership Forum’ সামিটে ভারচুয়ালি যোগ দিয়ে তালিবানের সঙ্গে আমেরিকার চুক্তি নিয়ে জয়শংকর বলেন, “আমাদের প্রত্যেকেরই উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। দোহাতে তালিবান ঠিক কী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সেটা আমরা জানি না। আমেরিকাই সবচেয়ে ভাল জানে। সেই চুক্তির অনেক বিষয়েই আমাদের জানানো হয়নি। অনেক বিষয় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও জানে না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আফগানিস্তানের জমি যাতে সন্ত্রাসবাড়ির ব্যবহার করতে না পারে। এটাই আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয়।”
আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারত ও আমেরিকার মত কী? এই প্রশ্নের উত্তরে বিদেশমন্ত্রী বলেন, “দেখুন, এক্ষেত্রে এমন অনেক বিষয় আছে যেখানে আমাদের মত কিছুটা বেশি মিলবে। আবার এমন অনেক ইস্যু আছে যেখানে আমরা কিছুটা কম সহমত হব।” পাকিস্তান নিয়ে আমেরিকার উপর চাপ বাড়িয়ে জয়শংকর বলেন, “বেশকিছু ক্ষেত্রে আমেরিকার থেকে আমাদের অভিজ্ঞতা ভিন্ন। ওই অঞ্চল থেকে জন্ম নেওয়া সন্ত্রাসবাদী গতিবিধির শিকার হয়েছি আমরা। ফলে সেই কথাগুলি মাথায় রেখেই আফগানিস্তানের পড়শি দেশগুলির (পাকিস্তান) প্রতি আমাদের মনোভাব তৈরি হয়েছে। সেই মনোভাবের সঙ্গে আমেরিকা কতটা সহমত তা তারাই স্থির করবে।”
বিশ্লেষকদের মতে, আফগানিস্তান নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী ও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শীর্ষ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে ভারতের উদ্বেগ একশো শতাংশ প্রতিফলিত হয়েছে বলে দাবি সাউথ ব্লকের। একইসঙ্গে পাকিস্তানের উপর লাগাম টানার জন্যও ওয়াশিংটনের উপর চাপ বাড়িয়েছে নয়াদিল্লি। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি কাতারের রাজধানী দোহায় তালিবানের সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করে আমেরিকা। চুক্তি মতো আফগানিস্তান থেকে ফৌজ সরাতে রাজি হয় ওয়াশিংটন।