shono
Advertisement

বছর শেষেই আশার আলো? সাতদিনের মধ্যে ভারতে ছাড়পত্র পেতে পারে অক্সফোর্ডের টিকা

নয়া স্ট্রেনেরও টিকার প্রস্তুতি শুরু করল বায়োএনটেক।
Posted: 10:04 AM Dec 23, 2020Updated: 10:07 AM Dec 23, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছর শেষেই আশার আলো! আগামী সপ্তাহেই ভারতে ছাড়পত্র পেতে পারে অ্যাস্ট্রাজেনেকা-অক্সফোর্ডের সম্ভাব্য ভ্যাকসিন (COVID-19 Vaccine)। স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে এমনটাই খবর। নতুন বছরের গোড়া থেকেই দেশে গণহারে টিকাকরণ শুরু হতে পারে।

Advertisement

স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্র খবর, অ্যাস্ট্রাজেনেকা-অক্সফোর্ড (Oxford-AstraZeneca) -সহ আরও দু’টি টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থার থেকে অতিরিক্ত তথ্য চেয়েছিল মন্ত্রক। অক্সফোর্ডের টিকা সংক্রান্ত ওই তথ্য সেরাম ইনস্টিটিউট ইতিমধ্যে জমা করেছে বলে সূত্রের দাবি। তবে ফাইজার ও বায়োটেক এখনও তথ্য জমা করেনি বলে খবর। সেই তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক।

[আরও পড়ুন : দেশে দৈনিক করোনা সংক্রমণ সামান্য বাড়ল, ২৬ রাজ্যে অ্যাকটিভ কেস দশ হাজারেরও কম]

উল্লেখ্য. তিনটি টিকা ভারতের বাজারে ছাড়পত্র চেয়ে আবেদন করেছে। সূ্ত্রের খবর, দাম ও সরল সংরক্ষণ ব্যবস্থার জন্য ছাড়পত্র পাওয়ার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকা-অক্সফোর্ডের সম্ভাব্য টিকা। তবে জরুরি পরিস্থিতিতে ফাইজার ও বায়োটেকের টিকা ব্যবহারের অনুমতি মিলতে পারে।

বিশ্বে একাধিক সম্ভাব্য টিকা এসে গেলেও চিন্তা বাড়িয়েছে করোনা ভাইরাসের (Corona Virus) নয়া স্ট্রেন। তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি, তৈরি হওয়া ভ্যাকসিনগুলি কোভিডের নয়া রূপের উপরও কাজ করতে প্রস্তুত। যদি তা ব্যর্থও হয়, তাতেও চিন্তার কিছু নেই বলে জানাচ্ছে ফাইজার-বায়োএনটেক। প্রয়োজনে ছ’সপ্তাহের মধ্যেই ভাইরাসের ওই স্ট্রেন মোকাবিলায় সক্ষম নতুন প্রতিষেধক তৈরি করে দিতে পারবে তারা। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এমনই দাবি করেছেন বায়োএনটেক-এর চিফ এগজিকিউটিভ উগুর শাহিন। কিন্তু তাঁর এই দাবি ঘিরেই নতুন করে সংশয় দানা বেঁধেছে। প্রশ্ন উঠেছে, যদি নতুন স্ট্রেন রুখতে তাঁদের টিকা সক্ষম হয়, তাহলে নতুন করে টিকা তৈরির কথা উঠছে কেন।

[আরও পড়ুন : সিরিয়ায় যুদ্ধরত জঙ্গিদের আর্থিক মদতদাতাদের সন্ধানে কেরলে তল্লাশি NIA’র]

জার্মান ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা বায়োএনটেক-এর সহকারী প্রতিষ্ঠাতা উগুরের দাবি, “প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের প্রেক্ষিতে আমাদের মনে হয়েছে, আমাদের কোভিড-টিকা, ব্রিটেনে ত্রাস সৃষ্টিকারী করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন মোকাবিলায় সক্ষম হবে। যদিও এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে আরও গবেষণা প্রয়োজন। এখনই নির্দিষ্ট করে বলে দেওয়া সম্ভব নয়। তবুও প্রয়োজন হলে নতুন ধরনের ভ্যাকসিন তৈরি করে দিতে আমাদের মাত্র ছ’সপ্তাহ সময় লাগবে।” উগুরের ব্যাখ্যা, “ব্রিটেনে যে স্ট্রেন মিলেছে, তার সঙ্গে করোনার বর্তমান স্ট্রেনের ৯৯ শতাংশ মিল রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রতিষেধক প্রযুক্তিবিদ্যা প্রয়োগ করে করোনা ভাইরাসের চিহ্নিত স্ট্রেনগুলির রূপান্তর নকল করে আমরা সংক্রমণ প্রতিরোধের টিকা বানাতে সক্ষম।” বায়োএনটেক কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁরা ইতিমধ্যে প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছেন।

এই পরিস্থিতির মধে্যই মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তথা ‘হু’—র তরফে আশ্বাস, ব্রিটেনে করোনার নতুন ‘স্ট্রেন’ তথা প্রজাতি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ অতিমারীর বিবর্তনের এটি একটি স্বাভাবিক অঙ্গ। শুধু তাই নয়। ভাইরাসের এই নতুন প্রজাতির গতিবিধি বুঝতে যে সমস্ত নতুন সরঞ্জাম এবং প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হয়েছে, সেগুলি ঠিকমতোই কাজ করছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement