সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানে (Pakistan) হিন্দু মন্দির (Hindu Temple) ধ্বংসের ঘটনায় এবার সরকারি ভাবে প্রতিবাদ জানাল ভারত। শুক্রবার কূটনৈতিক স্তরে এমন ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদের বার্তা পৌঁছে দেওয়া হল ইসলামাবাদের কাছে। এক সূত্র থেকে এমনটাই জানা গিয়েছে। গত বুধবার প্রতিবেশী দেশের খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকার একটি হিন্দু মন্দিরে হামলা চালিয়ে সেটি ভেঙে ফেলে মৌলবাদী ইসলামিক দলের কিছু সমর্থক। এই ঘটনার ভিডিও এবং ছবি ভাইরাল হতেই তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পাকিস্তানের হিন্দু অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে।
এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় পাক পুলিশ ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মন্দির ভাঙার প্রতিবাদ করে মিছিল বের করেছে পাকিস্তানের হিন্দু নাগরিকরা। সংখ্যালঘু ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকে এই অমানবিক ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিও জানানো হয়।
[আরও পড়ুন: রাতারাতি উধাও বিজেপি কার্যালয়! বুলডোজার চালিয়ে ভাঙায় অভিযোগের তিরে তৃণমূল ]
ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মৌলবাদী জামিয়াত উলেমা-ই-ইসলাম পার্টি। কিন্তু কেন আচমকাই হামলা চালানো হল ওই মন্দিরে? আসলে কয়েক দিন আগে স্থানীয় প্রশাসন ওই মন্দিরটির সংস্কারের আবেদনে সম্মতি দেন। এরপরই গত বুধবার ওই মন্দিরের উপরে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। প্রাথমিক ভাবে চোখের সামনে সমস্ত বিষয় দেখেও এলাকার স্থানীয় হিন্দুরা ভয়ে কোনও কথা কথা বলতে পারেননি বটে। কিন্তু পরে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার জেরে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে অন্যত্র। চাপে পড়ে পাকিস্তানের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী নুরুল হর কাদরি টুইট করে জানান, এমন ঘটনা আসলে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চক্রান্ত।
গত মাসে করাচিতেও হিন্দু মন্দির ভাঙার খবর সামনে এসেছিল। তবে সেক্ষেত্রে কোনও পদক্ষেপ করতে দেখা যায়নি প্রশাসনকে। কিন্তু এবারের ঘটনায় প্রতিবাদের জেরে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে ইমরান খানের সরকারকে। ফলে রাতারাতি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর মধ্যেই ভারতের প্রতিবাদ নিশ্চিতভাবেই পাক প্রশাসনের উপরে বাড়তি চাপ তৈরি করল।