সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওয়াংখেড়ের ঐতিহাসিক মাঠে বিরাট কোহলি তাঁর সম্পর্কে বলেছেন, এমন প্রতিভা এক প্রজন্মে একবারই আসে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যখনই উইকেটের দরকার পড়েছে, তখনই তিনি উইকেট তুলে নিয়েছেন প্রতিপক্ষের। তিনি জশপ্রীত বুমরাহ। রোহিত শর্মার হাতের তুরুপের তাস। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বুমরাহ ধরা দিয়েছেন অন্য অবতারে। এবারের মেগা ইভেন্টের সেরা প্লেয়ার নির্বাচিত হয়েছেন এই ভারতীয় পেসার।
সেই তাঁকেই জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল তিনিও কি বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, রবীন্দ্র জাদেজাদের রাস্তা নেবেন? ওয়াংখেড়েতে দাঁড়িয়ে বুমরাহ বলেন, ''আমি এখনই ওই পথে হাঁটছি না। সবে শুরু করেছি। আশা করি আরও অনেক পথচলা বাকি।''
[আরও পড়ুন: রোহিতদের কাছে হার চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার! বিশ্বজয়ের উৎসবে সেয়ানে-সেয়ানে দুই মায়ানগরী]
বিশ্বজয়ের অব্যবহিত পরেই কোহলি-রোহিত জানিয়ে দেন, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তাঁরা আর খেলবেন না। পরের দিন রবীন্দ্র জাদেজাও ঘোষণা করেন, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আর খেলবেন না তিনি।
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম বুমরাহর কাছে যৌবনের উপবন। সেই ওয়াংখেড়েতেই বিশ্বজয়ের উদযাপন হয়েছিল বৃহস্পতিবার। মেরিন ড্রাইভে জনস্রোত নামে। ওয়াংখেড়ের গ্যালারি কাণায় কাণায় ভর্তি ছিল। ২০১১ সালের বিশ্বজয়ের মাঠে দাঁড়িয়ে বুমরাহ বলেন, ''অবিশ্বাস্য লাগছে। শুধু আমি একা নই, আমার মতো অনেকেই ভাষা হারিয়েছে। আমার ছেলেকে দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছি। ম্যাচের পরে আমি কাঁদিনি। কিন্তু এখন আমি নিজেকে সামলাতে পারছি না। দু-তিন বার কেঁদেছি।''
[আরও পড়ুন: ‘সমর্থকদের জন্য মোহনবাগানে খেলতে আসা’, সবুজ-মেরুনে সই করে বললেন আলবার্তো]