সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিয়ন্ত্রণরেখায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন, অনুপ্রবেশ, উপত্যকার যুবকদের পাথর ছোড়ায় প্রত্যক্ষ মদত- এসবই পাকিস্তানের চারিত্রিক দুর্বলতা। শুক্রবার এই ভাষাতেই ইসলামাবাদের কঠোর সমালোচনা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী হংসরাজ আহির। সাফ জানিয়ে দিলেন, বাড়াবাড়ি করলে পাকিস্তানকে শায়েস্তা করতে তৈরি রয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ভারতের স্বার্থে আঘাত লাগলে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি প্রয়োগ করা হবে।
[জৈব-রাসায়নিক হামলা ঠেকাতে সেনার জন্য আসছে অত্যাধুনিক পোশাক]
আহির সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, “উমর ফায়াজকে হত্যা করেছে পাকিস্তান। এই ঘটনার কড়া নিন্দা করছে ভারত।” তিনি আরও জানিয়েছেন, কাশ্মীরের পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থা ও ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের সঙ্গে নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ রেখে চলেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকও। ভারতের সহিষ্ণুতাকে যেন দুর্বলতা ভেবে ভুল না করে, স্পষ্ট করেছেন আহির। এর আগে তিনি বলেছিলেন, পাকিস্তান যেভাবে প্রায় নিত্যদিন যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে, তার এমন জবাব দেওয়া হবে যে আর একটিও গুলি নিয়ন্ত্রণরেখায় চলবে না। “আমরা দুর্বল নই, আমরা ধৈর্য হারাচ্ছি না। আমরা কোনও সাধারণ মানুষকে আঘাত করতে চাই না। তবে সীমান্তে গুলির লড়াই স্তব্ধ করতে এবার ভারত সরকার কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে”, বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী হংসরাজ আহির। এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছিলেন, সীমান্তে গোলাগুলি রুখতে বিএসএফকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।
[২০১৭-তেই বড়সড় জঙ্গি হামলা হতে পারে ভারতে, সতর্ক করলেন মার্কিন গোয়েন্দারা]
গত এপ্রিল মাসে পাক সেনা অন্তত ছয়বার যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে৷ চলতি মাসের ১ তারিখে পাক সেনা ও জঙ্গিদের যৌথবাহিনী দুই ভারতীয় জওয়ানের মুণ্ডচ্ছেদ করে৷ এ ঘটনায় উভয় দেশের মধ্যে প্রবল উত্তেজনা তৈরি হয়৷ গতকালও জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরি জেলার নৌসেরা অঞ্চলে পাক সেনার মর্টার হামলায় এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে৷ জখম হয়েছেন মৃতার স্বামী৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব রাজীব মেহঋষি জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির সঙ্গে দেখা করে আলোচনা করেন রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে৷ বুধবার রাত থেকে পাক সেনা আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন নৌসেরা সেক্টরে ভারতীয় সেনা চৌকি লক্ষ্য করে গুলি ও মর্টার হামলা চালাতে শুরু করে৷ পাক সেনার হামলার কারণে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে রাজৌরি জেলার সীমান্ত সংলগ্ন এলাকার স্কুলগুলিতে ছুটি ঘোষণা করা হয়৷ বুধবার সোপিয়ান জেলায় উমর ফয়েজ নামে এক সেনা আধিকারিককে অপহরণ করে হত্যা করে জঙ্গিরা৷ শুক্রবারও জম্মু-কাশ্মীরের আর্নিয়া সেক্টরে সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে পাকিস্তান। এদিন সকাল ৭ টা নাগাদ পাক রেঞ্জার্সরা বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। ঘটনায় এক বিএসএফ জওয়ান আহত হন। তবে চুপ নেই ভারতও। পাল্টা গুলি চালান বিএসএফ জওয়ানরাও। শুধু গুলি নয়, দু’পক্ষই একে-অপরকে উদ্দেশ্য করে ছোট ছোট মর্টারও ছোড়ে।
[মোদির কূটনৈতিক ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’, চিনা সাবমেরিন ঠাঁই পেল না লঙ্কায়]
The post ‘বাড়াবাড়ি করলে পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দিতে তৈরি ভারত’ appeared first on Sangbad Pratidin.