সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৩৭০ ধারা (Article 370) বিলোপকে সাংবিধানিক বৈধতা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই সিদ্ধান্তকে বেআইনি তকমা দিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছিল ইসলামিক রাষ্ট্রগুলোর সংগঠন ওআইসি (OIC)। সেই বিবৃতিকে তীব্র কটাক্ষ করল ভারত। বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়, নির্লজ্জভাবে যারা সীমান্ত এলাকায় সন্ত্রাস ছড়ায় তাদের নির্দেশেই এই বিবৃতি জারি করেছে সংগঠনটি। ফলে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
গত সোমবার সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) জানিয়ে দেয়, সংবিধান মেনেই জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপ করা হয়েছিল। তার পর থেকেই এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন কাশ্মীরের একাধিক নেতা। সেই পথেই হেঁটেছে ওআইসি। ইসলামিক রাষ্ট্রগুলোর এই সংগঠনের মতে, অবিলম্বে এই রায় প্রত্যাহার করতে হবে। বিবৃতিতে বলা হয়, “জম্মু-কাশ্মীরের আমজনতার পাশে রয়েছে ওআইসি। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সনদ মেনেই যেন তাঁদের সমস্যা মেটানো হয়, সেই দাবি করছি আমরা।” উল্লেখ্য, ওআইসিকে বিশ্বের সমস্ত ইসলামিক রাষ্ট্রের কণ্ঠস্বর বলে অভিহিত করে আন্তর্জাতিক মহল।
[আরও পড়ুন: নিরাপত্তারক্ষীরা নন, সংসদে হানাদারদের ধরে ‘নায়ক’ সাংসদরাই]
ওআইসির এই বিবৃতি প্রকাশ্যে আসতেই কড়া ভাষায় পালটা জবাব দিয়েছে ভারত (India)। বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়, “অসাধু উদ্দেশের এই বিবৃতিতে ভুল তথ্য তুলে ধরা হয়েছে তাই ভারত এটা মানতে রাজি নয়। কারণ এই বিবৃতি দেখে ওআইসির প্রতি বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এমন কারোওর অঙ্গুলিহেলনে এই বিবৃতি জারি করেছে ওআইসি, যারা ধারাবাহিকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। অনুতাপহীনভাবে যারা সীমান্ত এলাকায় সন্ত্রাস ছড়াতে থাকে, তাদের কথায় পদক্ষেপ করলে ওআইসির উদ্দেশ্য নিয়ে সংশয় থাকবেই।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বিবৃতিতে আসলে পাকিস্তানকে নিশানা করেছে ভারত। কারণ ৩৭০ ধারাকে ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে নাশকতা চালিয়েছে পাকিস্তান। ভারতে জঙ্গিদের পাঠানোর ক্ষেত্রেও কাশ্মীরকে লঞ্চপ্যাড হিসাবে কাজে লাগিয়েছে তারা। তবে ভারতের বিবৃতিতে কোথাও পাকিস্তানের নাম উল্লেখ করা হয়নি।