সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) পুনর্বিন্যাস প্রক্রিয়া নিয়ে পাক (Pakistan) ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে পাশ হওয়া প্রস্তাবকে খারিজ করে দিল ভারত। স্পষ্ট জানিয়ে দিল এই বিষয়ে হস্তক্ষেপের অধিকারই নেই ইসলামাবাদের। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি এমনটাই জানিয়েছেন।
তিনি ঠিক কী জানিয়েছেন তাঁর বিবৃতিতে? সেখানে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরের পুনর্বিন্যাস প্রক্রিয়া নিয়ে যে প্রহসনমূলক প্রস্তাব পাশ হয়েছে তাকে আমরা খোলাখুলি খারিজ করে দিচ্ছি। ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের কোনও অধিকারই নেই পাকিস্তানের। যার মধ্যে ভারতের সেই অঞ্চলও রয়েছে যেটি পাকিস্তান বেআইনি ও বলপূর্বক হস্তক্ষেপ করে রেখেছে।” সেই সঙ্গে তিনি আরেকবার মনে করিয়ে দিয়েছেন, ”কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের সমগ্র অঞ্চল চিরকালই ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে।”
[আরও পড়ুন: ‘ডোনেট মি এ গার্লফ্রেন্ড’, প্ল্যাকার্ড হাতে রাস্তায় ঘুরছেন যুবক! ব্যাপারটা কী?]
উল্লেখ্য, এমাসের শুরুতেই জমা পড়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের পুনর্বিন্যাস প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত খসড়া। ২০১৯ সালের আগস্টে ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরকে ভেঙে দেওয়া হয় দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে- জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ (Ladakh)। এরপরই নিশ্চিত হয়ে যায়, সংবিধানের নিয়ম মেনে এবার এখানকার লোকসভা ও বিধানসভার আসনেরও পুনর্বিন্যাস করতে হবে। অবশেষে প্রায় আড়াই বছর পরে সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
এর আগে জম্মু ও কাশ্মীর যখন রাজ্য ছিল, তখন সব মিলিয়ে এখানকার বিধানসভায় আসনসংখ্যা আগে ছিল ১১১টি। যার মধ্যে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ছিল ২৪টি আসন। লাদাখে ছিল ৪টি। জম্মু ও কাশ্মীর মিলিয়ে ছিল ৮৩টি আসন। আসন পুনর্বিন্যাসের ফলে তা দাঁড়িয়েছে ৯০টি।