সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটা সময় মনে করা হচ্ছিল করোনামুক্তির পথে হাঁটছে দেশ।নতুন বছরেই হয়তো কোভিডমুক্ত হবে ভারত। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে হঠাৎই সেই ছবিটা বদলে গিয়েছে। ফের ঊর্ধ্বমুখী দেশের কোভিডগ্রাফ। ভাবাচ্ছে দৈনিক মৃত্যুহারও। আর এই পরিস্থিতির জন্য আমজনতার লাগাম ছাড়া মনোভাবকেই দায়ী করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।
রবিবার সকালের প্রাপ্ত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, এ দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা (Corona Virus) আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ২৬৪ জন। মৃত্যু হয়েছে ৯০ জনের। একইসময়ে করোনামুক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৬৬৭ জন। ফের দৈনিক করোনাজয়ীর চেয়ে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় চিন্তায় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
[আরও পড়ুন : বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, ৫ রাজ্যে ফের সতর্কতা জারি কেন্দ্রের]
রবিবার দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ কোটি ৯ লক্ষ ৯১ হাজার ৬৫১ জন। তাঁদের মধ্যে সুস্থ হয়ে গিয়েছেন ১ কোটি ৬ লক্ষ ৮৯ হাজার ৭১৫ জন। তবে এখনও চিকিৎসাধীন বা অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৬৩৪ জন। তবে প্রতিদিন এই সংখ্যাটা কমছে। বাড়ছে সুস্থতা। তবে ইতিমধ্যে এ দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ৩০২ জনের। এই পরিসংখ্যানটা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটাই কম। তবে দেশকে করোনামুক্ত করতে জোরকদমে চলছে টিকাকরণের কাজ। ইতিমধ্যে ১ কোটি ১০ লক্ষ ৮৫ হাজার ১৭৩ জনের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়েছে।
টিকাকরণ চললেও নতুন আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন দিল্লির এইমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলারিয়া। তাঁর কথায়, “কোভিডের নতুন স্বদেশি স্ট্রেন আরও ভয়ানক। এই স্ট্রেনটি করোনাজয়ীদেরও ফের সংক্রমিত করতে পারে।মহারাষ্ট্রে ইতিমধ্যে এই কোভিজ-১৯ স্ট্রেনের হদিশ মিলেছে।” তাই আমজনতাকে কোভিডবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তবে সাধারণে মানুষের মধ্যে কোনও হেলদোল নেই। যার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে দেশের দৈনিক সংক্রমণের গ্রাফে।