সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশজুড়ে লাগাতার করোনা টেস্ট এবং টিকাকরণে জোর দেওয়ার সুফল। মারণ ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা অনেকটাই কম বলেই দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও তেমনটা হয়, তবে তা দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো মারাত্মক আকার ধারণ করবে না। এমন খবরের পাশাপাশি স্বস্তি দিচ্ছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যানও। গোটা দেশে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ৮০ হাজারেরও কম।
বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৪ হাজার ৬২৩ জন করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন। যা গতকালের থেকে সামান্য বেশি হলেও সার্বিক পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। এই মুহূর্তে দেশের মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৪১ লক্ষ ৮ হাজার ৯৯৬। ২৪ ঘণ্টায় সামান্য বাড়ল মৃতের সংখ্যাও। একদিনে মারণ ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন ১৯৭ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনার বলি ৪ লক্ষ ৫২ হাজার ৬৫১ জন।
[আরও পড়ুন: Petrol-Diesel Prices: ফের বাড়ল জ্বালানিমূল্য, কলকাতায় ডিজেলের দাম পেরল ৯৮ টাকার গণ্ডি]
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকার পাশাপাশি স্বস্তি দিচ্ছে করোনার নিম্নমুখী অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, বর্তমানে দেশে করোনায় চিকিৎসাধীন রোগী ১ লক্ষ ৭৮ হাজার ৯৮ জন। গত ২২৯ দিনে সর্বনিম্ন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৩ কোটি ৩৪ লক্ষ ৭৮ হাজার ২৪৭ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ৪৪৬ জন। করোনা মোকাবিলায় শক্তি জোগাচ্ছেন এই করোনাজয়ীরাই। ধীরে ধীরে যে সুস্থতার পথে এগোচ্ছে দেশ, পরিসংখ্যান অন্তত সে ইঙ্গিতই দিচ্ছে। কারণ ২০২০ সালের মার্চের পর এদিনই সর্বোচ্চ সুস্থতার হার। বর্তমানে সুস্থতার হার ৯৮.১৫ শতাংশ।
ভাইরাস রুখে দিতে টিকাকরণকেই মূল হাতিয়ার করা হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ৯৯ কোটি ১২ লক্ষ ৮২ হাজার ২৮৩ জন করোনার টিকা পেয়েছেন। এর মধ্যে গতকালই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে ৪১ লক্ষ ৩৬ হাজারের বেশি নাগরিককে। টিকাকরণের পাশাপাশি আগের মতোই চলছে টেস্টিংও।