সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টানা কয়েকদিন ধরেই বাড়ছিল দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ। মঙ্গলবার মিলল সামান্য স্বস্তি। খানিকটা কমল রাজ্যের দৈনিক কোভিড সংক্রমণ। মঙ্গলবার সকালের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, একদিনে দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ৪৯২ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৩১ জনের। একই সময় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২০ হাজার ১৯১ জন। দৈনিক আক্রান্তের চেয়ে করোনামুক্তের সংখ্যা কম হওয়ায়, বাড়ছে চিন্তা। এদিকে দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা। ইউরােপের একাধিক দেশে এই টিকার ব্যবহার বন্ধ করা হয়েছে।
গত বছর মার্চ থেকেই দেশে মরণ কামড় বসিয়েছিল নোভেল করোনা ভাইরাস। ক্রমশ বাড়ছিল দৈনিক সংক্রমণ। আক্রান্তের শৃঙ্খল ভাঙতে লকডাউন জারি হয়েছিল দেশে। শেষপর্যন্ত বছর শেষে পরিস্থিতি সামান্য নিয়ন্ত্রণে আসে। আশার আলো দেখা দেয় নতুন বছরে। টিকাকরণ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অনেকটাই কমেছিল দৈনিক কোভিড সংক্রমণ। মনে করা হচ্ছিল, এবার হয়তো করোন মুক্তির পথে দেশ। কিন্তু মার্চে গোড়া থেকেই ফের পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। লাফিয়ে বাড়ছে দৈনিক কোভিড সংক্রমণ। চিন্তা বাড়াচ্ছে মৃত্যুও। সবমিলিয়ে ফের আতঙ্কে পরিস্থিতি দেশজুড়ে। কীভাবে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যায়, তা নিয়ে আলোচন করচে বুধবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রীও।
[আরও পড়ুন : Zomato ডেলিভারি বয়কে চপ্পল ছুঁড়ে মারার অভিযোগে মহিলা ক্রেতার বিরুদ্ধে দায়ের FIR]
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১ কোটি ১৪ লক্ষ ৯ হাজার ৮৩১ জন। তাঁদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ কোটি ১০ লক্ষ ২৭ হাজার ৫৪৩ জন। এদিন পর্যন্ত দেশে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষ ২৩ হাজার ৪৩২ জন। বেড়েছে মৃত্যু। ভারতে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৫৮ হাজার ৮৫৬ জনের।
টিকাকরণ শুরু হওয়ার পর মনে করা হচ্ছিল অতিমারীর দিন শেষের মুখে। কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়ন অন্তর্ভুক্ত জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স-সহ একাধিক দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হল। অভিযোগ, এই টিকা নেওয়ার পর জমাট বাঁধছে রক্ত। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, এই টিকা নিরাপদ।