সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের দৈনিক গ্রাফ প্রতিদিন ওঠানামা করলেও টানা ৩৩ দিন পজিটিভিটি রেট কিন্তু ৩ শতাংশের কমই রয়েছে। শনিবারও দেশের করোনা পরিসংখ্যান তুলে ধরে সে কথা স্পষ্ট করে দিল স্বাস্থ্যমন্ত্রক। অর্থাৎ সুস্থতার হার স্বস্তিজনক বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে আগস্টেই দেশে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা। মারণ ভাইরাস থেকে শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে তাই সেপ্টেম্বর থেকেই ভ্যাকসিন দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে এইমস।
শনিবারের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩৯ হাজার ৯৭ জন করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন। যা গতকালের তুলনায় খানিকটা বেশি। ফলে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৩ কোটি ১৩ লক্ষ ৩২ হাজার ১৫৯। বর্তমানে দৈনিক পজিটিভিটি রেট ২.৪০ শতাংশ। একদিনে এই মারণ ভাইরাসে প্রাণ হারালেন ৫৪৬ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনার বলি ৪ লক্ষ ২০ হাজার ১৬ জন। এর মধ্যে আবার দেশে মাথাচাড়া দিয়েছে কোভিডের একাধিক ভ্যারিয়েন্ট।
[আরও পড়ুন: Maharashtra: প্রবল বৃষ্টি আর ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২৯, নিখোঁজ বহু]
তবে ধীরে ধীরে কমেছে অ্যাকটিভ কেস। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, বর্তমানে দেশে করোনার চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা বেড়ে হল ৪ লক্ষ ৮ হাজার ৯৭৭ জন। যা মোট আক্রান্তের সংখ্যার ১.৩১ শতাংশ। এসব চিন্তার মাঝেই অবশ্য ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শক্তি জোগাচ্ছেন করোনাজয়ীরা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৩ কোটি ৫ লক্ষ ৩ হাজার ১৬৬ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৩৫ হাজার ৮৭ জন।
টিকাকরণের গতি বাড়িয়ে সংক্রমণ ঠেকানোর প্রয়াস জারি রয়েছে দেশজুড়ে। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪২ কোটি ৭৮ লক্ষেরও বেশি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ যাতে শিশুদের উপর প্রভাব বিস্তার করতে না পারে, তার জন্য তাদেরও দ্রুত টিকাকরণের আওতায় আনতে চাইছে কেন্দ্র। AIIMS প্রধান ডা. রণদীপ গুলেরিয়া জানান, সব ঠিকঠাক থাকলে সেপ্টেম্বর থেকেই শিশুদের ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে বলে আশা করা যায়। ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনের পাশাপাশি ফাইজার ও জাইডাস ভ্যাকসিনও ১২-১৮ বছর বয়সিদের জন্য পাওয়া যাবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে রোগী চিহ্নিত করতে অব্যাহত টেস্টিং প্রক্রিয়াও। ICMR-এর রিপোর্ট বলছে, গতকাল ১৬ লক্ষ ৩১ হাজার ২৬৬টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।