সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘুষকাণ্ডে গত রবিবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিসের আধিকারিক অমিতকুমার সিঙ্ঘল। এবার সেই ঘটনার সূত্র ধরে কার্যত গুপ্তধনের সন্ধান পেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তল্লাশি অভিযান চালিয়ে সিবিআই বাজেয়াপ্ত করেছে নগদ এক কোটি টাকা, সাড়ে তিন কেজি রুপো ও প্রায় দুই কেজি সোনা। জানা গিয়েছে, দিল্লি, মুম্বই ও পাঞ্জাবের বেশকিছু জায়গায় হানা দিয়ে এই বিপুল পরিমাণ বেআইনি সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে।
গত রবিবার ২৫ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল অমিতকে। সেই গ্রেপ্তারির সূত্র ধরেই তল্লাশি অভিযানে নামেন তদন্তকারীরা। সেখানেই উদ্ধার হয় সোনা, রুপো ও নগদ টাকার পাহাড়। পাশাপাশি একটি লকারে ২৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথিপত্র ও বিপুল পরিমাণ স্থাবর সম্পত্তির নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া এই সমস্ত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির মূল্য নির্ধারণ করা হচ্ছে সিবিআইয়ের তরফে। যদিও এই বিপুল গুপ্তধন অভিযুক্ত আইআরএসের পাঞ্জাব ও দিল্লির বাড়ি থেকেই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে কিনা তা স্পষ্ট করেননি তদন্তকারীরা।
উল্লেখ্য, অভিযুক্ত ওই আমলা ২০০৭ সালের ব্যাচের আধিকারিক ছিলেন। ‘ডিরেক্টরেট অফ ট্যাক্সপেয়ার সার্ভিসেস’-এর অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল হিসাবে কাজ করতেন। অভিযোগ, আয়কর সংক্রান্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এক দোকানের মালিকের থেকে ৪৫ লক্ষ টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন অমিত। এরপর দোকান মালিক সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ জানান। সেই ঘটনার পর অভিযুক্ত আমলাকে ধরতে ফাঁদ পাতেন তদন্তকারীরা। আমলার নির্দেশে হর্ষ কোটক নামে এক ব্যক্তি দোকান মালিকের কাছ থেকে টাকা আদায় করতে আসেন। অভিযুক্ত হর্ষকে গ্রেপ্তারের পর দিল্লির বাড়ি থেকে অভিযুক্ত আমলাকেও গ্রেপ্তার করে সিবিআই।
