সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের সার্বিক করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এখনই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলার জো নেই। কারণ মাথাচাড়া দিয়েছে নয়া আতঙ্ক ওমিক্রন। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে করোনার নয়া প্রজাতি ছড়িয়ে পড়তেই সতর্ক হয়েছে ভারতও। টেস্টিং থেকে কনট্যাক্ট ট্রেসিং- সব ক্ষেত্রেই সমস্ত রাজ্যকে কড়াকড়ির নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
শনিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৮ হাজার ৬০৩ জন করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন। যা গতকালের তুলনায় বেশ খানিকটা কম। তবে এখনও চিন্তায় রাখছে কেরলের কোভিড গ্রাফ। এদিকে কর্ণাটকে ‘ওমিক্রন’ আক্রান্তের খোঁজ মেলার পর থেকেই নতুন করে কড়াকড়ি শুরু হয়েছে। তামিলনাড়ুর মাদুরাইতে আবার ভ্যাকসিন না নিলে শপিং মলে প্রবেশের উপর জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। সতর্ক বাণিজ্যনগরীও। ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে এলে বিমানযাত্রীদের সাতদিনের হোম কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এরই মধ্যে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা। তাই সবমিলিয়ে দৈনিক সংক্রমণ কমলেও এখনই ঢিলেমি দেওয়ার উপায় নেই।
[আরও পড়ুন: ফাটল না নারকেল, উদ্বোধনে চিড় ধরল কোটি টাকার রাস্তাতেই! হাস্যকর ঘটনা যোগীরাজ্যে]
এদিকে মারণ ভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রাণ হারিয়েছেন ৪১৫ জন। অর্থাৎ এখনও এই ভাইরাস যে মারাত্মক শক্তিশালী, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এখনও পর্যন্ত করোনায় দেশে মোট মৃতের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৭০ হাজার ৫৩০ জন।
তবে প্রতিদিনই একটু একটু করে কমছে অ্যাকটিভ কেস। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, বর্তমানে দেশে করোনায় চিকিৎসাধীন রোগী ৯৯ হাজার ৯৭৪ জন। গত বছর মার্চ মাসের এই প্রথম এতটা কম অ্যাকটিভ কেস। ধীরে ধীরে বাড়ছে সুস্থতার হারও। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৩ কোটি ৪০ লক্ষ ৫৩ হাজার ৮৫৬ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৮ হাজার ১৯০ জন।
টিকাকরণকে হাতিয়ার করেই করোনা যুদ্ধে এগোনোর চেষ্টা করছে কেন্দ্র। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে প্রায় ১২৬ কোটি ৫৩ লক্ষেরও বেশি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গতকালই ভ্যাকসিন পেয়েছেন ৭৩ লক্ষের বেশি। টিকাকরণের পাশাপাশি আগের মতোই চলছে টেস্টিংও। গতকাল যেমন ১২ লক্ষের ৫২ হাজার ৫৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।