সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউন ও কড়া বিধিনিষেধের জেরে ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসছে দেশের করোনা সংক্রমণ। বেশ কয়েকদিন দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা এক লক্ষের নিচে। আর আজ ৭০ দিন পর ৯০ হাজারের কম দৈনিক সংক্রমণ। কিন্তু ভোলবদলে যে ভাইরাসটি আরও প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে, তার প্রমাণ মিলছে প্রতিপদে। কারণ গতবছরের তুলনায় এবার দৈনিক মৃতের সংখ্যা অনেকটাই বেশি। শুক্রবারের পর শনিবারের রিপোর্টও বেশ উদ্বেগজনক।
শনিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৮৪ হাজার ৩৩২ জন করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন। দিল্লিতে অনেকখানি বাগে আনা সম্ভব হয়েছে মারণ ভাইরাসকে। মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটকেও তুলনামূলক নিয়ন্ত্রণে সংক্রমণ। তবে চলতি বছরই করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন দেশবাসী। যদিও কোভিডবিধি মেনে এবং টিকাকরণের মাধ্যমে তা রুখে দেওয়া সম্ভব বলেই দাবি কেন্দ্রের। দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ৯৩ লক্ষ ৫৯ হাজার ১৫৫। একদিনে এই মারণ ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন ৪০০২ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনার বলি ৩ লক্ষ ৬৭ হাজার ৮১ জন।
[আরও পড়ুন: ‘জয় শ্রীরাম’ না বলায় জেলের ভিতরই ‘বেধড়ক মার’, আদালতের দ্বারস্থ ISIS জঙ্গি]
তবে মানুষ নতুন করে গৃহবন্দি হওয়ায় ধীরে ধীরে কমছে অ্যাকটিভ কেস। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, বর্তমানে দেশে করোনার চিকিৎসাধীন মোট ১০ লক্ষ ৮০ হাজার ৬৯০ জন। একটা সময় অ্যাকটিভ কেস বাড়তে থাকায় হাসপাতালে বেড সংকট, অক্সিজেন সংকটে ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। যা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।
সেই সঙ্গে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শক্তি জোগাচ্ছেন করোনাজয়ীরা। পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ২১ হাজার ৩১১ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে ২ কোটি ৭৯ লক্ষ ১১ হাজার ৩৮৪ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। টিকা পেয়েছেন ২৪ কোটি ৯৬ লক্ষেরও বেশি মানুষ। টিকার দুটি ভোটের ব্যবধান প্রসঙ্গে শুক্রবার কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, এখনই দুই ডোজের ব্যবধান বদলের প্রয়োজন নেই। তবে টিকাকরণের পাশাপাশি রোগী চিহ্নিত করতে চলছে টেস্টিংও। ICMR-এর রিপোর্ট বলছে, গতকাল ১৯ লক্ষ ২০ হাজার ৪৭৭টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।