সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের একাধিক রাজ্যে করোনার সংক্রমণ মাথাচাড়া দিলেও ICMR জানিয়ে দিয়েছে, আপাতত চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কা নেই। ফলে মাঝেমধ্যে সংক্রমণের হার বাড়লেও কোভিডবিধি মানলে রুখে দেওয়া সম্ভব হবে করোনা ভাইরাসকে। গত ২৪ ঘণ্টাতেও যেমন আক্রান্তের হার বৃদ্ধি পেল প্রায় ২৫ শতাংশ। গতকাল অ্যাকটিভ কেস কমলেও এদিন ফের তা ঊর্ধ্বমুখী।
বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ৩,২০৫ জন। গতকাল যে সংখ্যা ছিল আড়াই হাজারের কিছু বেশি। অর্থাৎ একদিকে সংক্রমণের হার বাড়ল ২৪.৮ শতাংশ। এর মধ্যে শুধু দিল্লিতেই আক্রান্ত ১৪১৪ জন। দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা গত ২৪ ঘণ্টায় ফের ঊর্ধ্বমুখী। বর্তমানে অ্যাকটিভ কেস ১৯ হাজার ৫০৯। গোটা দেশে অ্য়াকটিভ কেসের হার আপাতত ০.০৫ শতাংশ। বুলেটিন অনুযায়ী, একদিনে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩১ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ ২৩ হাজার ৯২০।
[আরও পড়ুন: চাকরি যাচ্ছে পরাগ আগরওয়ালের, টুইটারের নতুন সিইও ঠিকও করে ফেলেছেন মাস্ক! দাবি রিপোর্টে]
সংক্রমণ নিয়ে নতুন করে উদ্বেগের মাঝেও অবশ্য দেশে সুস্থতার হার স্বস্তিজনক। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৫ লক্ষ ৪৪ হাজার ৬৮৯ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ২৮০২ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৭৪ শতাংশ। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে ১৮৯ কোটি ৪৮ লক্ষের বেশি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল ভ্যাকসিন পেয়েছেন সাড়ে ৪ লক্ষের বেশি। জোর দেওয়া হচ্ছে বুস্টার ডোজেও। দ্বিতীয় ডোজ এবং বুস্টার বা প্রিকশন ডোজের মধ্যে সময়ের ব্যবধান ৯ মাস থেকে কমিয়ে ৬ মাস করা যায় কি না, তা নিয়ে আজ বৈঠকে বসার কথা কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞ দলের।
বিধিনিষেধ উঠে গেলেও কোনওভাবেই যাতে সংক্রমণ মাথাচাড়া না দেয়, তার জন্য টিকাকরণের পাশাপাশি করোনা রোগী চিহ্নিত করতে জোর দেওয়া হচ্ছে টেস্টিংয়েও। গতকাল দেশে ৩ লক্ষ ২৭ হাজার ৩২৭ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।