প্রসূন বিশ্বাস: ৬ জুন যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ফিফা বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারে ভারতের (Indian Football Team) মুখোমুখি কুয়েত। সেই ম্যাচের আগে চার সপ্তাহের প্রস্তুতি শিবির হবে ভারতীয় দলের। ভুবনেশ্বরে হবে সেই জাতীয় শিবির। শিবির শুরু ১০ মে। ভুবনেশ্বর থেকে চূড়ান্ত স্কোয়াড ২ জুন কলকাতায় পা রাখবে। তার চারদিন পরই বিশ্বকাপের যোগ্যতা পর্বে ভারতের সামনে কুয়েত (Kuwait)।
ইগর স্টিমাচ (Igor Stimac) ঘরের মাঠে দর্শকপূর্ণ স্টেডিয়ামে ম্যাচ খেলার পক্ষপাতী। কুয়েতকে হারাতে যুবভারতীর জনগর্জনই ভারতীয় কোচের বলভরসা। এই ম্যাচটি কলকাতায় খেলতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন স্টিমাচ। ফেডারেশনও তাঁর দাবি মেনে নেয়। জানিয়ে দেয় ম্যাচের বল গড়াবে কলকাতাতেই।
[আরও পড়ুন: রোহিতের পর সঞ্জুকে টি-২০ ক্যাপ্টেন চান এই প্রাক্তন তারকা, গল্পেই নেই হার্দিক!]
ঘরের মাঠে কুয়েতের বিরুদ্ধে নামার আগে ভারতীয় ফুটবল দলের অবস্থা কিন্তু খুব ভালো নয়। বিশ্বকাপের কোয়ালিফাই পর্বে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথমে ড্র করে ভারত। পরে ঘরের মাঠেই হেরে যায়। স্টিমাচ জানিয়ে দেন, কলকাতায় কুয়েত ম্যাচ হারলেই তিনি পদত্যাগ করবেন। সেরকম কিছু ঘটলে ১১ জুন শেষ লড়াইয়ে কাতারের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে স্টিমাচ আর ভারতীয় দলের কোচ থাকবেন না। কলকাতার মাঠে কুয়েতের বিরুদ্ধে ম্যাচটা যে ভারত জিতবে, সে বিষয়ে যথেষ্ট আশাবাদী স্টিমাচ। কুয়েতের বিরুদ্ধে ম্যাচ জিতলে পরের রাউন্ডে ভারতের যাওয়ার একটা সম্ভাবনা আবার তৈরি হবে। কিন্তু কুয়েতকে কি এই ভারত হারাতে পারবে? যে ভারত হেরে যায় আফগানিস্তানের কাছে। তাঁদের পক্ষে কি ম্যাচ জেতা সম্ভব যুবভারতীতে? আশাবাদী স্টিমাচ।
অবশ্য এমন পরিস্থিতি ভারতীয় ফুটবলে নতুন নয়। এর আগেও এরকম পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে ভারতীয় ফুটবলকে। প্রায় একইরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল স্টিমাচকে। বিশেষ করে মালদ্বীপে সাফ কাপের সময়। সেদিন সাফ চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলে, চাকরি চলে যেত ভারতীয় কোচের। সেখান থেকে উন্নতি করে এশিয়ান কাপের ছাড়পত্র জোগাড় করেন সুনীল ছেত্রীরা। এবারও চার সপ্তাহের জাতীয় শিবির করে পরিস্থিতি ঘুরিয়ে দিতে পারবেন বলেই বিশ্বাস করেন স্টিমাচ।