সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতিতে দেশের বেলাইন অর্থনীতিকে লাইনে ফেরাতে আরও খরচ করতে পারতো সরকার। ফের কেন্দ্রের ভুল ধরলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সাফ কথা, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে সরকারের উচিত বেশি পরিমাণ অর্থ খরচ করা। তাতে বন্ডের বাজারেও কোনও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলেই মনে করছেন তিনি।
করোনার হামলার আগে থেকেই ভারতের অর্থনীতি ধুঁকছিল। করোনার মারে তা পুরোপুরি স্তব্ধ। শিল্প থেকে কৃষি সব ক্ষেত্রেই বন্ধ উৎপাদন। অনেক রেটিং এজেন্সিই বলছে চলতি অর্থবর্ষে বড়সড় ধাক্কা খেতে পারে দেশ। এই পরিস্থিতিতে যেনতেনপ্রকারেণ গরিবকে টাকা দেওয়াই বাঁচার উপায় বলে মনে করছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। তিনি বলছেন, আমার মনে হয় না সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এখন কি জিডিপির উপর অতিরিক্ত ২ শতাংশ অর্থব্যয় করা সম্ভব? সম্ভবত হ্যাঁ। ” পশ্চিমবঙ্গের কোভিড পরামর্শ কমিটির সদস্যের প্রশ্ন, “অনেক দেশই এই কঠিন পরিস্থিতিতে নিজেদের জিডিপির প্রায় ১০ শতাংশ পর্যন্ত অর্থ ধার করছে। তাহলে ভারতে এটা এখনই কেন করা হচ্ছে না?” অভিজিৎ বিনায়ক (Abhijit Banerjee) মনে করছেন, করোনার দ্বিতীয় ধাক্কার প্রভাব মানুষের মনে আরও বেশিদিন থাকবে। তাঁর আশা, প্রথম ঢেউয়ের পর সরকারি আধিকারিক এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) নিজে যেভাবে বুক বাজিয়ে সাফল্য দাবি করছিলেন, সেটা আর কেউ করবে না। যার ফলে লকডাউনের (lock down) পরেও মানুষ অনেক বেশি সাবধানী থাকবে।
[আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন না দিয়ে বাংলায় ভোট করেছেন! করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য মোদিকে দুষলেন রাহুল]
প্রসঙ্গত, করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময়ও কেন্দ্রের সমালোচনা শোনা গিয়েছিল অভিজিৎবাবুর মুখে। সেসময়ও তিনি আরও বেশি অর্থব্যয় করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। অন্য অর্থনীতিবিদরা সাধারণত যাতে আপত্তি জানান, সেটাই করার পরামর্শ দিয়েছিলেন অভিজিৎবাবু। তাঁর পরামর্শ ছিল, “দেশের অর্থনীতিকে ভেঙে পড়া থেকে বাঁচাতে গেলে সাধারণ গরিব মানুষের পকেটে প্রচুর টাকা দিতে হবে। সেজন্য যদি অতিরিক্ত টাকা ছাপাতেও হয়, তাতেও পিছপা হওয়া উচিত নয়।” এরপরে কেন্দ্রের মোদি সরকার অর্থনীতিকে সামাল দিতে পরিমাণে সামান্য হলেও বেশ কয়েকটি প্যাকেজ ঘোষণা করে। কিন্তু দ্বিতীয় ধাক্কা সামাল দিতে তেমন কোনও প্যাকেজ এখনও কেন্দ্র ঘোষণা করেনি।