সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের আন্তর্জাতিক মঞ্চে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলে ভারতকে খোঁচা দিল পাকিস্তান। এবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ইউক্রেনের সঙ্গে কাশ্মীরের তুলনা টানলেন ইসলামাবাদের প্রতিনিধি মুনির আক্রম। পালটা, বিশ্ব দরবারে সুযোগের ‘অপব্যবহার’ করছে পাকিস্তান বলে তোপ দাগে ভারত।
সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, বুধবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ইউক্রেনের (Ukraine) চারটি অঞ্চলকে অবৈধ ভাবে রাশিয়ায় সংযুক্তির নিন্দা প্রস্তাব পেশ করা হয়। ১৯৩ সদস্যের সাধারণ সভায় ১৪৩টি ভোটে প্রস্তাবটি পাস হয়। ভোটদানে বিরত থাকে ভারত, চিন ও পাকিস্তান। এর আগে মঙ্গলবার রাশিয়া সেই প্রস্তাবে ভোটাভুটির জন্য গোপন ব্যালটের দাবি জানিয়েছিল। সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করে গোপন ব্যালটের বিরুদ্ধেই ভোট দেয় ভারত। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদে আলবেনিয়া ওই নিন্দা প্রস্তাবটি এনেছিল। সেই প্রস্তাবে ইউক্রেনের ডনেৎস্ক, খেরসন, লুহানস্ক এবং জাপরজাই অঞ্চল রাশিয়ার দখল করা এবং সেখানে অবৈধ ভাবে গণভোট করানোর নিন্দা ও বিরোধিতা ছিল।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরে জঙ্গিদের জোড়া বুলেট বুক পেতে নিল সেনার কুকুর, কেমন আছে ‘জুম’?]
এই প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার (Russia) বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার সময় ইউক্রেনের সঙ্গে কাশ্মীরের তুলনা করেন ইসলামাবাদের প্রতিনিধি মুনির আক্রম। তিনি বলেন, “একইভাবে (ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের মতো) ভারত কাশ্মীর দখল করতে চাইছে। সেই বিষয়েও এভাবেই নিন্দা প্রস্তাব আনা হোক।” পালটা পাকিস্তানকে একহাত নেন ভারতের প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ। তাঁর কথায়, “ফের আন্তর্জাতিক মঞ্চের অপব্যবহার করছে পাকিস্তান। কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে ও থাকবে। আমি পাকিস্তানের কাছে সন্ত্রাস রপ্তানি বন্ধ করার আবেদন জানাচ্ছি যাতে আমাদের নাগরিকরা শান্তিতে থাকতে পারে।”
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর মাসে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় কাশ্মীর ইস্যুতে সরব হন শাহবাজ শরিফ। ভারতের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত অবৈধ ও একতরফা বলে তোপ দাগেন পাক প্রধানমন্ত্রী। পালটা, সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গ উত্থাপন করে ভারত। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, কয়েকদিন আগেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সাফ জানিয়ে দেন যে কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা করার প্রশ্নই নেই। কাশ্মীরকে পুরোপুরি সন্ত্রাসমুক্ত করাই কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সরকারের একমাত্র লক্ষ্য। সবমিলিয়ে, আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতকে আলোচনার টেবিলে টেনে আনার পাকিস্তানের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বলেই মত বিশ্লেষকদের।