সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীরে (Kashmir) কোনও গণতন্ত্র নেই। হায়দরপোরার ঘটনার পর এমনই অভিযোগ ছিল রাষ্ট্রসংঘের (UN) মানবাধিকার কমিশনের। বিশেষ করে খুরাম পারভেজের গ্রেপ্তারির ঘটনায় দাবি করা হয়েছিল উপত্যকায় মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। এই অভিযোগ উড়িয়ে দিল ভারত। পালটা জবাবে বিদেশ মন্ত্রক জানাল, কাশ্মীরে অটুট গণতন্ত্র।
গত ১৫ নভেম্বর কাশ্মীরে সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে প্রাণ হারান বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা। গ্রেপ্তার করা হয়েছিল মানবাধিকার কর্মী খুরাম পারভেজকে। অভিযোগ করা হয়েছিল, তল্লাশির নামে সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার করেছে সেনা ও পুলিশ।
[আরও পড়ুন: বিরোধীদের ধরনার পালটা, সংসদে গান্ধীমূর্তির সামনে বিক্ষোভ বিজেপিরও, তীব্র ‘বচসা’ দু’পক্ষের]
এই ঘটনায় সরব হয়েছিল রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশন। তাদের রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়েছিল, উপত্যকায় কোনও গণতন্ত্র নেই। বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রক এই রিপোর্টকে খারিজ করেছে। মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, জেনিভা চুক্তি মেনেই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখানে মানবাধিকার কোনও ভাবেই অক্ষুণ্ণ হয়নি।
উল্লেখ্য, শ্রীনগরের (Srinagar) হায়দরপোরায় এক জঙ্গিবিরোধী অভিযান ঘিরে বিতর্ক চরমে পৌঁছেছিল নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে। নিরাপত্তা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, ওই অভিযানে চারজন মারা গিয়েছে। তাদের মধ্যে দু’জন জঙ্গি (Terrorist)। বাকি দু’জন কাশ্মীরের ব্যবসায়ী। বিতর্ক ঘনিয়েছে এই দু’জনকে ঘিরেই। বাহিনীর দাবি, এই দুই ব্যক্তি জঙ্গি না হলেও তাঁরা জঙ্গিদের মদতদাতা। কিন্তু তাঁদের পরিবারের তরফে সেই অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করা হয়েছে, দু’জনই সম্পূর্ণ নিরপরাধ।
[আরও পড়ুন: ‘বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছি’, উত্তরপ্রদেশের ভোটপ্রচারে রাম মন্দিরই অস্ত্র অমিত শাহর]
পুলিশ প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছিল, ওই দুই জঙ্গিই খুন করেছে দুই ব্যবসায়ীকে। কিন্তু পরে বয়ান বদলে জানায়, তারা জঙ্গিদেরই অনুচর। এই বয়ান বদলের পরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের পাশাপাশি প্রতিবাদ শুরু করেছে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিরোধী দলগুলিও। এদিকে জানা গিয়েছে, নিহতদের মধ্যে রয়েছেন রামবন জেলার বাসিন্দা আমির মাগরেও। তিনিও নিরপরাধ বলেই দাবি।