সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শতাব্দীকেও এবার বিদায় জানাতে প্রস্তুত রেল। আধুনিক প্রযুক্তির বিন্যাসে এবার শতাব্দীকেও পিছনে ফেলল চেন্নাই আইসিএফ-এ তৈরি ‘ট্রেন-১৮’। এই সপ্তাহেই প্রথম ট্রায়াল রানে নামছে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই অত্যাধুনিক ট্রেন। অত্যাধুনিক এই ট্রেনটির মূল বিশেষজ্ঞ, ট্রেনটিতে তথাকথিত ইঞ্জিনের অনুপস্থিতি। এটিই প্রথম পুরোপুরি ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ট্রেন। এই ট্রেনটি তৈরির পরিকল্পনা থেকে শুরু করে, প্রযুক্তি, যন্ত্রপাতি সবই ভারতীয়।
[খোদ Paytm মালিকের গোপন নথি চুরি, প্রশ্নে গ্রাহকদের তথ্য নিরাপত্তা]
এই সপ্তাহেই প্রথম ট্রেন ১৮ ট্র্যাকে আসতে চলেছে। ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হয়েছে প্রথম রেকটি। খুব শীঘ্রই দ্বিতীয় রেকটিও তৈরি হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে রেল। তবে, এত বেশি খরচ আর হবে না। ধীরে ধীরে রেকের সংখ্যা বাড়লে খরচও কমবে।কী থাকছে এই ‘ট্রেন-১৮’-এ? এখনকার স্বল্প দূরত্বের ইএমইউ ও ডিএমইউ ট্রেনের মতো আলাদা ইঞ্জিন থাকবে না এই ট্রেনে। ফলে ইঞ্জিন বদলের ঝামেলা থাকবে না। এই রেকে সামনে, পিছনে ও মাঝে ট্রাকশান মোটর থাকে। চালক হাতল ঘোরালেই ট্রাকশান মোটরগুলি সক্রিয় হয়ে চাকাকে ঘোরাতে শুরু করে। ট্রেন-১৮-এ আলাদা ইঞ্জিন থাকবে না। ইঞ্জিনের ভেতরেই ট্রাকশান মোটর থাকবে। ফলে তা সব চাকাকেই এক সঙ্গে সক্রিয় করে তুলবে। সব ব্রেককে এক সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করবে।
[সিবিআই বনাম সিবিআই লড়াই এবার আদালতে, আইনের দ্বারস্থ দুই শীর্ষকর্তাই]
রেলের সঙ্গে যুক্ত ইঞ্জিন ইএমইউ, ডিএমইউ ট্রেনগুলি এখন স্বল্প দূরত্বে চলে। একই ধাঁচের আরও প্রযুক্তিগত উন্নত এই ট্রেন-১৮ এখন চলবে লম্বা সফরে।হাওড়া-দিল্লি, হাওড়া-মুম্বই, হাওড়া-চেন্নাই। বগিগুলি প্রযুক্তির দিক থেকে উন্নত মানের হবে। ট্রেনের নিচে পাওয়ার ট্রান্সমিশন থাকবে। সেখান থেকেই পাওয়ার এসে এসি থেকে আলো সব জ্বালাতে সাহায্য করবে। স্টেশন এলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বেরিয়ে আসবে সিঁড়ি। যা দিয়ে নামা-ওঠা করবে যাত্রীরা। ছাড়ার সময় আবার তা ঢুকে যাবে। ইলেকট্রিক্যাল ব্রেক কন্ট্রোলে ট্রেন দাঁড়াবে সঙ্গে সঙ্গে। দুরন্ত গতির এই ট্রেনের সামনের দিক হবে প্লেনের মতো ছুঁচালো। দেখতে অনেকটা বুলেট ট্রেনের মতো।
The post এ সপ্তাহেই ট্রায়ালে নামছে পুরোপুরি ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ বিনা ইঞ্জিনের ট্রেন appeared first on Sangbad Pratidin.