সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনের সঙ্গে সংঘাতের আবহে ফের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ভারতের। সোমবার ওড়িশার হুইলার আইল্যান্ড থেকে পারসোনিক মিসাইল অ্যাসিসটেড রিলিস অফ টর্পেডো (এসএমএআরটি)–র সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করে প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO)।
[আরও পড়ুন: ফের রক্তাক্ত কাশ্মীর, জঙ্গি হামলায় শহিদ দুই CRPF জওয়ান]
এসএমএআরটি হচ্ছে সাবমেরিন ধ্বংসের জন্য তৈরি হাল্কা ওজনের মিসাইল–টর্পেডো সিস্টেম যা সাধারণ টর্পেডোর থেকেও অনেক দূরের লক্ষ্য ভেদ করতে পারে। পরীক্ষা সফল হওয়ার পর DRDO-র চেয়ারম্যান জি সতীশ রেড্ডি বলেন, “সাবমেরিন যুদ্ধের গতি বদলে দেওয়ার মতো প্রযুক্তি আছে এসএমএআরটি-তে। তাই এটা গেম চেঞ্জার টেকনোলজি।” বলে রাখা ভাল, ভারত মহাসাগরে চিনা নৌবাহিনীকে আটকে দিতে সক্ষম হলেও সাবমেরিনের ক্ষেত্রে সংখ্যার নিরিখে অনেকটাই পিছিয়ে ভারতীয় নৌবাহিনী। লালফৌজের ভাণ্ডারে এই মুহূর্তে রয়েছে প্রায় ৫৫টি সাবমেরিন। তুলনায় ভারতের হাতে রয়েছে মাত্র ১২টি। এই অসঙ্গতির কথা মাথায় রেখেই সাবমেরিন বিধ্বংসী নয়া মিসাইলটি পরীক্ষা করেছে ভারত।
লাদাখ সীমান্তে চিনা (China) আগ্রাসনের জবাব দিতে তৈরি হচ্ছে ভারত। ‘ড্রাগন’ বাহিনীর ছলচাতুরী বোঝেই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে চাইছে ভারতীয় ফৌজ বলেই মত বিশ্লেষকদের। কয়েকদিন আগেই ওড়িশার টেস্ট রেঞ্জে আণবিক অস্ত্রবহনে সক্ষম ‘শৌর্য’ ব্যালিস্টিক মিসাইলের আরও আধুনিক সংস্করণের সফল উৎক্ষেপণ করে ভারত। পারমাণবিক অস্ত্রবহনে সক্ষম শৌর্য মিসাইলের (Shaurya missile) এই নয়া সংস্করণটি ৮০০ কিলোমিটার পর্যন্ত লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম। এই সফল উৎক্ষেপণের পরই ভারতের ‘স্ট্র্যাটেজিক মিসাইল ফোর্স’-এ শামিল হবে এই হাইপারসোনিক অর্থাৎ শব্দের চেয়েও দ্রুত এই ক্ষেপণাস্ত্র। শত্রুপক্ষের আণবিক অস্ত্রভাণ্ডার তথা সম্ভাব্য পারমাণবিক হামলার পালটা জবাব দিতে ‘স্ট্র্যাটেজিক মিসাইল ফোর্স’ গড়ে তুলেছে ভারত। এতে শৌর্য ছাড়াও রয়েছে আণবিক অস্ত্রবহনে সক্ষম অগ্নি মিসাইল ও অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্র।