সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গণতন্ত্র ক্ষয়িষ্ণু। গণতন্ত্র রক্ষা নিয়ে তাই আলোচনাসভার আয়োজন করছে আমেরিকা (America)। ডিসেম্বরের ‘সামিট ফর ডেমোক্রেসি’তে আমন্ত্রিত ভারতও। তাৎপর্যপূর্ণভাবে আমন্ত্রিতের তালিকায় নেই চিন এবং রাশিয়ার নাম। অথচ গণতন্ত্রের আলোচনা সভায় আমেরিকা আমন্ত্রণ জানিয়েছে তাইওয়ানকে। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
ডিসেম্বর মাসের ৯-১০ তারিখ ‘সামিট ফর ডেমোক্রেসি’ (Summit For Democracy) নামে ভারচুয়াল আলোচনাচক্রের আয়োজন করেছে আমেরিকা। সেই আলোচনায় যোগ দিতে পারেন বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (Narendra Modi)। প্রসঙ্গত, আগামী ৬ ডিসেম্বর দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে আসতে চলেছেন রাশিয়ার (Russia) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার পরেই আমেরিকার আয়োজিত আলোচনাচক্রে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: আমেরিকায় ক্রিসমাস প্যারেডে নাশকতা! জনতাকে পিষে দিল বেপরোয়া গাড়ি, হতাহত বহু]
বিশ্বে গণতন্ত্রকে কীভাবে মজবুত করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে এই সভায়। মূলত তিনটি বিষয়ে আলোচনা হতে চলেছে। এক- একনায়কতন্ত্রের বিরোধিতা, দুই-দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই, তিন-মানবাধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়া। কিন্তু এমন এক আলোচনাসভায় চিন, রাশিয়ার মতো রাষ্ট্রের অনুপস্থিতি বিতর্ক বাড়িয়েছে।
আমন্ত্রিতদের তালিকায় নেই মায়ানমার, আফগানিস্তানও। কিছুদিন আগেই গণতন্ত্রকে পদদলিত করে মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান হয়। এদিকে আফগানিস্তানও তালিবানের দখলে। স্বাভাবিকভাবেই তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আমন্ত্রিতদের তালিকা থেকে বাদ পড়েছে তুরস্ক, সৌদি আরব, আরহ আমিরশাহী। এরা সকলেই মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার বন্ধুরাষ্ট্র। কিন্তু তাদেরও এই আলোচনাসভায় ডাকা হয়নি।
[আরও পড়ুন: অবশেষে মুক্তি পেলেন সুদানের প্রধানমন্ত্রী হামদক, তুলে নেওয়া হল গৃহবন্দির নির্দেশ]
তাৎপর্যপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক আলোচনাসভায় ডাক পেয়েছে তাইওয়ান। যে রাষ্ট্রটিকে নিজেদের দেশের অংশ বলে দাবি করে চিন। এবার গণতন্ত্রের আলোচনায় তারা ডাক পেলেও চিন ব্রাত্য থেকে গিয়েছে। আর তা নিয়ে চিন ও আমেরিকার দ্বন্দ্ব যে বাড়বে, তা আলাদা করে বলার প্রয়োজন পড়ে না।