সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার সাগরেও শক্তিপ্রদর্শন ভারতের। নৌসেনার ডেস্ট্রয়ার আইএনএস চেন্নাই থেকে ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ করল প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO)।
[আরও পড়ুন: লকডাউনের ধাক্কায় ঋণের বোঝা! স্ত্রী ও দুই সন্তানকে আগুনে পুড়িয়ে মেরে আত্মঘাতী যুবক]
রবিবার DRDO জানায়, আরব সাগরে ভারতীয় নৌসেনার অত্যাধুনিক রণতরী বা স্টেলথ ডেস্ট্রয়ার আইএনএস চেন্নাই থেকে নিখুঁতভাবে লক্ষ্যে আঘাত করে ব্রহ্মস (Brahmos) ক্ষেপণাস্ত্রটি। লক্ষ্যে আঘাত হানার আগে একাধিক জটিল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ক্ষেপণাস্ত্রটি। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে শত্রুর এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে ধোঁকা দেওয়া। এই সফল পরীক্ষণের জন্য DRDO, নৌসেনা ব্রহ্মসকে অভিনন্দন জানান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।
গত সেপ্টেম্বর মাসে বর্ধিত পাল্লার সুপারসনিক ব্রহ্মস ক্রুজ মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ করে ভারত। রাশিয়া ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্রটির ওই সংস্করণ ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম। এদিন, নৌসেনার যুদ্ধজাহাজ থেকে যে ব্রহ্মস মিসাইলটি ছোঁড়া হয় সেটির হামলা করার ক্ষমতা ২৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত। সীমান্তে চনের সঙ্গে সংঘাতের আবহে আগেই লাদাখে ব্রহ্মস মিসাইল মোতায়েন করেছে ভারতীয় ফৌজ। এবার সাগরেও মিসাইলটি উৎক্ষেপণ করে বেজিংকেই বার্তা দিল নয়াদিল্লি বলেই মত আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের।
উল্লেখ্য, এক সময় গোটা পৃথিবীর সম্ভ্রম আদায় করে নিয়েছিল মার্কিন ফৌজের ক্রুজ মিসাইল ‘টোমাহক’। ইরাকে সাদ্দাম সেনার বিরুদ্ধে হামলা বা আফগানিস্তানে তালিবানের বিরুদ্ধে লড়াই, সব যুদ্ধক্ষেত্রেই মার্কিন বাহিনীর অন্যতম বড় ভরসা ছিল টোমাহক ক্রুজ মিসাইল। ভারত ও রাশিয়া যৌথভাবে ব্রহ্মস তৈরি করে ফেলার পর গোটা বিশ্বের সমর বিশারদদের নজর কেড়ে নিয়েছে এই ক্রুজ মিসাইল। আমেরিকার টোমাহকের গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯০ কিলোমিটার। ভারত-রাশিয়ার ব্রহ্মসের বেগ তার চার গুণ। ব্রহ্মস ঘণ্টায় ৩৭০০ কিলোমিটার বেগে ছুটে গিয়ে আঘাত হানে লক্ষ্যবস্তুতে। এই ক্ষেপণাস্ত্রের নিশানাও নিখুঁত।