সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনের সঙ্গে সংঘাতের আবহে ফের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ভারতের। এবার রাজস্থানের পোখরানে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ট্যাংক বিধ্বংসী ‘নাগ’ মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ করল প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO)।
[আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ভোটের প্রচার! কমল নাথ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ আদালতের]
জানা গিয়েছে, বুশবার সকাল ৬.৪৫ মিনিট নাগাদ পোখরানের ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয় নাগ অ্যান্টি-ট্যাংক গাইডেড মিসাইলটির (Nag anti-tank guided missile)। প্রত্যাশা মতোই নির্ভুলভাবে লক্ষ্যে আঘাত হানে দেশে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্রটি। DRDO সূত্রে খবর, পরিস্থিতি বুঝে হওয়া ও জমি থেকে ছোঁড়া যায় এই মিসাইল। ৪ থেকে ৭ কিলোমিটার পর্যন্ত নিখুঁতভাবে নিশানায় আছড়ে পড়ে নাগ। ইনফ্রারেড সেন্সরের মাধ্যমে শত্রু ফৌজের ট্যাংক খুঁজে বের করে সেটির উপর বিষাক্ত সাপের মতোই ফণা তুলে আছড়ে পড়ে ‘নাগ’। অত্যাধুনিক ‘সিকার’ (এক ধরনের সেন্সর) থাকায় দিন বা রাত যে কোনও সময় প্রতিপক্ষের ট্যাংক ও দ্রুতগতিতে চলা সামরিক যান খুঁজে বের করতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র।
উল্লেখ্য, লাদাখ সীমান্তে চিনা এআগ্রাসনের পর যুদ্ধের প্রস্তুতি সেরে ফেলছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং পর্যন্ত সাফ বার্তা দিয়েছেন যে ভারত শান্তি চায়। তবে হানাদার বাহিনীকে জবাব কীভাবে দিতে হয় তা জানে সেনাবাহিনী। এবং পরিস্থিতি বুঝে পদক্ষেপ করার জন্য ভারতীয় ফৌজকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, বিগত দু’মাসে ১০টিরও বেশি মিসাইল পরীক্ষা করে বেজিংকেই বার্তা দিয়েছে নয়াদিল্লি। এই মিসাইলগুলির মধ্যে রয়েছে আণবিক অস্ত্রবহনে সক্ষম অগ্নি থেকে ট্যাংক বিধ্বংসী নাগ মিসাইল। আগ বাড়িয়ে হামলা নয়, নিজের ভূমির অখণ্ডতা বজায় রাখতে ভারতীয় ফৌজ যে পালটা জবাব দেবে তার ফল চীনের জন্য ভয়াবহ হবে।
প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বর মাসে বালাসোরের এপিজে আব্দুল কালাম টেস্টিং রেঞ্জ থেকে এই Hypersonic Test Demonstrator Vehicle (HSTDV)টি উৎক্ষেপণ করে ভারত। আপাতত বিশ্বের মাত্র তিনটি দেশ-আমেরিকা (USA), রাশিয়া (Russia) ও চিনের (China) কাছে এই প্রযুক্তি রয়েছে। এবার সেই তালিকায় নাম জুড়ল চলেছে ভারতেরও।