সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সীমান্ত এলাকায় এবার স্থায়ীভাবে বাঙ্কার তৈরি করতে চলেছে ভারত। দেশের ইতিহাসে প্রথমবার এই পদক্ষেপ নিতে চলেছে সরকার। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, গুজরাটে (Gujarat) স্যর ক্রিক ও ‘হারামি নাল্লা’ জলাভূমি সংলগ্ন এলাকায় বাঙ্কার তৈরি হবে। ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত (India-Pak Border) এলাকায় আটতলা সমান উচতার বাঙ্কার তৈরি হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, গুজরাট সীমান্ত এলাকায় একাধিকবার পাক অনুপ্রবেশকারীদের আটক করা হয়েছে ২০২২ সালে। তাই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবেই বাঙ্কার তৈরি করা হবে।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই বাঙ্কার তৈরির জন্য ৫০কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বিএসএফ জওয়ানরা পাকাপাকিভাবে এই বাঙ্কার গুলিতে থাকবে ও সীমান্তের কার্যকলাপের দিকে নজর রাখবে। গুজরাটের ভুজ সেক্টরেই এই বাঙ্কার বানানোর কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছে সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই। চার হাজার বর্গ কিলোমিটারের বেশি জায়গা জুড়ে থাকা স্যর ক্রিক এলাকায় পাঁচটি বাঙ্কার তৈরি করা হবে। ৯০০ বর্গ কিলোমিটার হারামি নাল্লাতেও ৪২ ফুট উঁচু বাঙ্কার বানানো হবে।
[আরও পড়ুন: চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট, বিমানযাত্রীদের জন্য নয়া নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের]
আরব সাগরের তীরে অবস্থিত গুজরাট সীমান্ত ব্যবহার করে একাধিকবার ভারতে ঢোকার চেষ্টা করেছে পাক জঙ্গিরা। জলপথ ব্যবহার করেই ২৬/১১র জঙ্গি হামলা চালানো হয়েছিল। কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২২ সালে মোট ২২জন পাক অনুপ্রবেশকারীকে গুজরাটের জল সীমান্ত থেকে আটক করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আড়াইশো কোটি টাকার মাদকও উদ্ধার করা হয়েছে। তাই সীমান্তে নজরদারি আরও তীক্ষ্ণ করে তুলতেই বাঙ্কার তৈরি করার পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্র। জানা গিয়েছে, আটতলা সমান উঁচু এই বাঙ্কারে অত্যাধুনিক সরঞ্জাম রাখা হবে। যেসমস্ত এলাকা থেকে অনুপ্রবেশ হয়ে থাকে, মূলত সেই অঞ্চলেই নজরদারি চালানোর জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে এই বাঙ্কারে। প্রত্যেক বাঙ্কারে মোট ১৫ জন বিএসএফ জওয়ানের থাকার ব্যবস্থা থাকবে।
বিপদসংকুল ক্রিক এলাকায় নজরদারি চালানোর জন্য পায়ে হেঁটেই চলাফেরা করতে হত জওয়ানদের। বিষাক্ত সাপ-সহ নানা বিপদের মধ্যেই কাজ করতে হত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গত বছরেই গুজরাট সীমান্ত সফরে গিয়েছিলেন। সেখানে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পরেই বাঙ্কার তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় স্বরাষ্ট্র দপ্তর। ক্রিক এলাকায় আপাতত তিনটি বাঙ্কার বানানোর কাজ চলছে। বিএসএফের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এপ্রিল মাস থেকে সমুদ্র সংলগ্ন এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রবণতা বাড়তে থাকে। তাই মার্চ মাসের মধ্যেই এই বাঙ্কার তৈরির কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য বিএসএফের একটি বিশেষ দল নিযুক্ত করা হয়েছে।