সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চন্দ্রযান ২-এর ব্যর্থতার অধ্যায় দ্রুত মুছে ফেলেছে ইসরো (ISRO)। ২৩ আগস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নেমেছে ল্যান্ডার বিক্রম। এবার রোভার প্রজ্ঞানের সাহায্যে আগামী ১৪ দিন ধরে ইসরোর হাতে আসবে চাঁদ সম্পর্কে নানা অজানা তথ্য। কিন্তু এই সাফল্যের রেশ কাটতে না কাটতেই আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে পরের মিশন নিয়ে। মিশন চন্দ্রযান ৪। আর সেই মিশনে ভারতের সঙ্গে হাত মেলাবে জাপান।
চাঁদে (Moon) জল রয়েছে কিনা সেই প্রশ্নের উত্তরই খুঁজবে জাক্সা তথা জাপান এরোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি ও ইসরো। চন্দ্রযান ৩-ও সেই খোঁজই চালাবে। তবে সেই অন্বেষণকে নতুন মাত্রা দেবে চন্দ্রযান ৪। লক্ষ্য তেমনই। খুব বেশি দূর নয়। ২০২৬ সালেই সম্ভবত সেই যান পাড়ি দেবে চাঁদের উদ্দেশে। এই অভিযানের মূল্য লক্ষ্য থাকবে দু’টি। চাঁদে জলের পরিমাণ ও গুণমাণের বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা।
[আরও পড়ুন: হাতে চাঁদ পেল ভারত, ১৪০ কোটির স্বপ্ন নিয়ে চন্দ্রপৃষ্ঠে ইসরোর ‘বিক্রম’]
উল্লেখ্য, চাঁদের ছায়াচ্ছন্ন গহ্বরগুলিতে জলের অস্তিত্বের প্রমাণ ইতিমধ্যেই পেয়েছেন নাসা, ইসরো ও অন্যান্য মহাকাশ সংস্থার বিজ্ঞানীরা। যদি সত্যিই জল পাওয়া যায় এখানে, তাহলে তা পানীয় জলের প্রয়োজন মেটাবে। ভবিষ্যতে চাঁদে মানুষের বসবাস শুরু করতে গেলে যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে উঠবে। পাশাপাশি জলকে ভেঙে জ্বালানি হাইড্রোজেন ও নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য অক্সিজেনও উৎপাদন করা যাবে। এই সমস্ত কারণেই চাঁদে জলের অস্তিত্ব বিষয়ে নিঃসন্দেহ হয়ে আগামিদিনের লক্ষ্যে এগিয়ে চলাই লক্ষ্য বিজ্ঞানীদের।