সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মালদ্বীপ থেকে সেনা সরাবে ভারত! আগামী মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হবে বলে দাবি মালদ্বীপের বিদেশ মন্ত্রকের। তবে এর পরও দ্বীপরাষ্ট্রটিতে থাকা ভারতীয় ও মালদ্বীপ প্রতিরক্ষা আধিকারিকদের সহায়তার জন্য দুটি হেলিকপ্টার এবং একটি ডর্নিয়ার বিমান মোতায়েন রাখবে ভারত, এমনটাই খবর। এখনও পর্যন্ত নয়াদিল্লির (Delhi) তরফে সেনা সরানো নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। ফলে বিষয়টি ঘিরেই ধোঁয়াশা অব্যাহত রয়েই গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার নয়াদিল্লিতে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহার নিয়ে ভারত ও মালদ্বীপের (Maldives) আধিকারদের মধ্যে দ্বিতীয় দফায় উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। এই আলোচনার পর মালদ্বীপের বিদেশ মন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে দাবি করেছে, ‘ভারত সরকার মালদ্বীপে থাকা তিনটি বিমানক্ষেত্র থেকে সেনা সরিয়ে নেবে। যার মধ্যে একটি বিমানক্ষেত্রে থেকে ১০ মার্চের মধ্যেই সেনা সরিয়ে নেওয়া হবে। ১০ মের মধ্যে বাকি দুটি বিমানক্ষেত্রে থেকেও সেনা সরানো হবে।’’ উভয় দেশই এই সিদ্ধান্তে সহমত বলেও জানিয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রটি।
[আরও পড়ুন: কানাডায় নিজ্জর ঘনিষ্ঠের বাড়িতে প্রাণঘাতী হামলা! ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল খলিস্তানিদের]
এখনও পর্যন্ত সেনা প্রত্যাহার নিয়ে চূড়ান্ত কোনও মন্তব্য করেনি কেন্দ্র। কবে থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু হবে তাও উল্লেখ করা হয়নি ভারতের তরফে। তবে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বিমানক্ষেত্রগুলোতে সেনা কার্যকলাপ চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে পারস্পরিকভাবে কয়েকটি কার্যকর সমাধানের পথ খুঁজে বের করেছে উভয়পক্ষ। যাতে মালদ্বীপের জনগণকে মানবিক এবং চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার কাজ জারি থাকে।’ ফলে আদৌ ভারত সেনা সরাবে কি না তা এখনও নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। সূত্রের খবর, দুই দেশই এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিমানক্ষেত্রে জরুরি পরিষেবা জারি রাখতে সম্মত হয়েছে।
বলে রাখা ভালো, নির্বাচনে জিতেই হুঙ্কার দিয়েছিলেন মালদ্বীপের নয়া প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। চিনপন্থী ওই নেতা সাফ জানিয়েছিলেন, অবিলম্বে দেশ ছেড়ে যেতে হবে ভারতীয় সেনাকে। বেঁধে দিয়েছিলেন সময়সীমা। তাঁর বক্তব্য ছিল, আগামী ১৫ মার্চের মধ্যেই মালদ্বীপ ছাড়তে হবে ভারতীয় সেনাকে। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি কোনদিকে গড়ায় সেদিকেই নজর ওয়াকিবহাল মহলের।