shono
Advertisement
North Korea

'দিবে আর নিবে', দশ হাজার সেনার বিনিময়ে কিমের দেশকে তেল ও ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ার!

‘বন্ধু’ কিমের সঙ্গে বোঝাপড়া পুতিনের।
Published By: Biswadip DeyPosted: 08:39 PM Nov 22, 2024Updated: 08:39 PM Nov 22, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রণক্ষেত্রে রুশ ফৌজের শক্তি বাড়াতে সেনা পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এখনও পর্যন্ত হাজার দশেক সেনা পাঠানো হয়েছে। আর এই সাহায্যের বিনিময়ে রাশিয়া কিম জং উনের দেশকে আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি তেল ও অ্যান্টি এয়ার মিসাইল দিয়েছে। এমনই দাবি দক্ষিণ কোরিয়ার।

Advertisement

সিওলের তরফে জানানো হয়েছে, সরকারি তরফে এক অনুসন্ধানী দল তদন্ত করে এই তথ্য জানতে পেরেছে। সেদেশের সর্বোচ্চ প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা শিন উওন-সিক জানাচ্ছেন, ''জানা গিয়েছে, পিয়ংইয়ংয়ের দুর্বল বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সরঞ্জাম এবং বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছে।'' সেই সঙ্গেই তাঁর দাবি, নানা ভাবে কিমের দেশকে অর্থনৈতিক সাহায্যও করেছে মস্কো। এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার অলাভজনক সংস্থা ওপেন সোর্স সেন্টারের তরফে দাবি করা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ায় তেলও পাঠিয়েছে রাশিয়া। কৃত্রিম উপগ্রহের তোলা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, গত আট মাসে পিয়ংইয়ংয়ের বারোটি তেলের ট্যাঙ্কার সব মিলিয়ে ৪৩ বার রাশিয়ার বন্দরের এক তেলের টার্মিনালে গিয়েছে। এভাবেই সেনার বিনিময়ে 'বন্ধু' উত্তর কোরিয়ার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া, দাবি তেমনই।

গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে আমেরিকার চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে রাশিয়ায় গিয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান কিম জং উন। বৈঠক করেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে। তখনই যুদ্ধের ময়দানে মস্কোকে নিঃশর্তভাবে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেন কিম। সেই থেকেই জল্পনা, ইউক্রেন যুদ্ধ আবহে দুদেশের মধ্যে অস্ত্র চুক্তি হয়েছে। এর আগেও কিমের দেশের বিরুদ্ধে ক্রেমলিনকে অস্ত্র দেওয়ার অভিযোগ এনেছে আমেরিকা।

সম্প্রতি হোয়াইট হাউস দাবি করে, প্রায় হাজারের উপর সামরিক অস্ত্র বোঝাই কন্টেনার পিয়ংইয়ং থেকে গিয়েছে মস্কোতে। তার পরই জানা যায়, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সেনা পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া। তার আগে ‘বন্ধু’ কিমের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে চলতি বছরের জুন মাসে উত্তর কোরিয়ায় গিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। দীর্ঘ আলোচনার পর সামরিক চুক্তি স্বাক্ষর করেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। চুক্তি অনুযায়ী, রাশিয়ায় হোক কিংবা উত্তর কোরিয়ায়, অন্য দেশ আক্রমণ শানালেই একে অপরের পাশে দাঁড়াবেন পুতিন ও কিম। নাম না করলেও যে দুজনের ইঙ্গিত আমেরিকার দিকেই তা স্পষ্ট হয়ে যায়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • রণক্ষেত্রে রুশ ফৌজের শক্তি বাড়াতে সেনা পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এখনও পর্যন্ত হাজার দশেক সেনা পাঠানো হয়েছে।
  • আর এই সাহায্যের বিনিময়ে রাশিয়া কিম জং উনের দেশকে আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি তেল ও অ্যান্টি এয়ার মিসাইল দিয়েছে।
  • এমনই দাবি দক্ষিণ কোরিয়ার।
Advertisement