সুকুমার সরকার, ঢাকা: আগামী অক্টোবর মাস থেকেই বাংলাদেশে (Bangladesh) করোনা ভ্যাকসিন পাঠাবে ভারত। এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাসান মাহমুদ।
[আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তানকে অনুসরণ নয়, আফগানিস্তান নিয়ে ‘স্বাধীন সিদ্ধান্ত’ নেবে বাংলাদেশ]
সম্প্রতি ভারত সফর শেষে বুধবার দেশে ফিরে আসেন মাহমুদ। শুক্রবার শেখ হাসিনা সরকারের এই মন্ত্রী রাজধানী ঢাকার মিন্টো রোডের বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “ভারতের সেরাম ইনিস্টিটিউট উৎপাদন বাড়াতে না পারায় বাংলাদেশ চুক্তি অনুযায়ী অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পায়নি। তবে আসছে অক্টোবরের শেষ দিকে এ প্রতিবন্ধকতা কেটে যেতে পারে।” শাসক দল আওয়ামি লিগের যুগ্ম সম্পাদক হাসান মাহমুদ আরও বলেন, “ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেছেন, টিকা উৎপাদনের ক্ষেত্রে তারা যা আশা করেছিলেন, তেমনটা হয়নি। এ বছরের শেষ দিকে, লাস্ট কোয়ার্টারে, অর্থাৎ অক্টোরের দিকে টিকা উৎপাদন আরও জোরদার হবে। যেটা ভারত আশা করছিল, সে অনুযায়ী উৎপাদন করতে পারেননি। ভারতের টিকার কাঁচামাল বিদেশে থেকে আসে। সেগুলি না আসার কারণে তারা পর্যাপ্ত টিকা উৎপাদনে যেতে পারছে না। আশা করি এই বছরের শেষের দিকে এই প্রতিবন্ধকতা কেটে যাবে। তখন আমাদের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী সেই টিকা সরবরাহ করার সম্ভব হবে।”
বলে রাখা ভাল, বহুদিনের ও বহুজনের চেষ্টায় অবশেষে হাতে এসেছে করোনার প্রতিষেধক। মহামারীর শুরুর দিকে বিনা শর্তে তা বাংলাদেশ-সহ পড়শি দেশগুলিকে জোগান দেয় ভারত (India)। ফলে কূটনীতির ময়দানেও কিছুটা সুবিধা পেয়েছে নয়াদিল্লি। বিশেষ করে ‘টিকা’ হাতিয়ার করে ঢাকার উপর চিনের প্রভাব অনেকটাই খর্ব করতে সক্ষম হয়েছে মোদি সরকার বলেই মত বিশ্লেষকদের। তবে চলতি বছর প্রতিশ্রুতি মতো সেরাম টিকার জোগান দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ও ভরিতে বিপুল চাহিদার জন্য রপ্তানি বন্ধ রাখা কিছুটা ক্ষুব্ধ হয় ঢাকা। কিন্তু দুই বন্ধু দেশের মধ্যে সাময়িক সেই মনোমালিন্য মিটিয়ে ফেলেছে দুই দেশ।
উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল বাংলাদেশ (Bangladesh)। রোজই লাফিয়ে বাড়ছে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা। এই মারণরোগের নির্দিষ্ট কোনও ওষুধ না থাকায় লড়াইয়ের একমাত্র হাতিয়ার হচ্ছে প্রতিষেধক। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, দেশে দ্রুত টিকাকরণ শেষ করতে চিনের সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাকের প্রায় ১০ কোটি করোনার টিকা (Corona vaccine) কিনতে যাচ্ছে ঢাকা। এহেন পরিস্থিতিতে এবার ভারতও দ্রুত বাংলাদেশকে টিকার জোগান দিতে চলেছে।