সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেশ কয়েকদিন বন্ধ থাকার পরে ফের শুরু হল ভারত ও ব্রিটেনের (UK) মধ্যে বিমান পরিষেবা। করোনার নয়া স্ট্রেন (New COVID-19 strain) থেকে হু হু করে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে ব্রিটেনে। সেই কারণেই বন্ধ রাখা হয়েছিল বিমান চলাচল (Flight operations)। এখনই তা শুরু করা উচিত কিনা, তা নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই শুক্রবার ২৫৬ জন যাত্রী নিয়ে লন্ডন থেকে দিল্লি পৌঁছল বিমান।
কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী জানিয়েছেন, ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে ব্রিটেন থেকে ভারতগামী ১৫টি করে বিমান দেশে নামবে। একইভাবে ১৫টি বিমান উড়ে যাবে লন্ডনে। প্রসঙ্গত, গত ২৩ ডিসেম্বর ভারত থেকে ব্রিটেনগামী ও ব্রিটেন থেকে এদেশে আসা সমস্ত উড়ান সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করেছিল।
[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েককে খুনের ষড়যন্ত্র! উড়ো চিঠির জেরে উত্তেজনা ওড়িশায়]
করোনার নতুন স্ট্রেনের আতঙ্কে ব্রিটেনে চলছে লকডাউন। আগামী প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি হয়ে ভারতে আসার পরিকল্পনাও শেষ মুহূর্তে বাতিল করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। স্বাভাবিকভাবেই এমন পরিস্থিতিতে ফের বিমান চলাচল শুরু করা হলেও সতর্ক কেন্দ্র। দিল্লি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের পরামর্শ দিয়েছে, তাঁরা যেন নিজেদের শহরে ফেরার বিমান ধরার আগে অন্তত ১০ ঘণ্টা অপেক্ষা করেন। শুধু তাই নয়, ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত যত যাত্রী ব্রিটেন থেকে দেশে আসবেন, সকলকেই নিজের খরচে কোভিড পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। তাছাড়া বিমানে ওঠার ৭২ ঘণ্টা আগেও করোনা পরীক্ষা করিয়ে দেখে নিতে হবে তিনি নেগেটিভ কিনা। সেই রিপোর্ট দেখাতে হবে দিল্লি নামার পরে। তাছাড়া বাড়ি ফিরে ১৪ দিনের জন্য থাকতে কোয়ারেন্টাইনে।
গতকালই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল কেন্দ্রকে অনুরোধ করেছিলেন, ব্রিটেনের পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে বিমান চলাচল এখনই শুরু না করে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ রাখা হোক। কিন্তু তাঁর আরজি মানতে রাজি হয়নি কেন্দ্র। কেজরিওয়াল টুইটে প্রশ্ন তোলেন, ‘‘অনেক কষ্টে দেশের কোভিড পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এদিকে ব্রিটেনের পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর। কেন এই মুহূর্তে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে দেশের মানুষকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছি আমরা?’’