সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে (Bangladesh) আছড়ে পড়েছে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ। মহামারীর প্রকোপ রুখতে দ্রুত টিকাকরণের পথে হাঁটতে চাইছে হাসিনা প্রশাসন। এহেন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে টিকার জোগান দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা কাটেনি বলে জানিয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম দোরাইস্বামী।
[আরও পড়ুন: ‘করোনা কাটিয়ে উঠবই’, আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে শেখ হাসিনাকে চিঠি আশাবাদী মোদির]
রাজধানী ঢাকায় শাসকদল আওয়ামি লিগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। তিনি বলেন, “ভারতে করোনার অবস্থা এখনও গুরুতর। এ নিয়ে ঠিক কী হবে তা এখনই বলতে পারছি না।” এর আগে তিনি আওয়ামি লিগের সহযোগী সংগঠন যুবলিগের নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে যান ভারতীয় হাইকমিশনার। তাঁকে স্বাগত জানান যুবলিগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। যুবলিগ নেতাদের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন তিনি। সেখানে সেরাম ইনস্টিটিউটের করোনার টিকার বিষয়ে জানতে চাইলে বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, “আমরা টিকা উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছি। যার জন্য আরও কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে। উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে ৩৩ লক্ষ টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। আশা করি টিকা উৎপাদন বাড়লে এটা অব্যাহত থাকবে। কিন্তু ভারতে করোনার অবস্থা এখনও করুণ। সুতরাং, পরবর্তী সময়ে এ নিয়ে ঠিক কী হবে তা এখনই বলতে পারছি না।”
গত মে মাসে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ হয় বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের। সেই সময় দ্রুত টিকা জোগান দেওয়ার অনুরোধ জানান মোমেন। এক বিবৃতি জারি করে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রক জানায়, ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর বাংলাদেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দ্বিতীয় ডোজের চাহিদা-সহ বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে অবগত আছেন।