ইংল্যান্ড: ৪৭৭
ভারত: ৩৯১/৪ (রাহুল-১৯৯, পার্থিব-৭১, নায়ার-৭১*)
তৃতীয় দিনের খেলা শেষ
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঢিলের জবাব পাটকেলে৷ মঈন আলির চোখ ধাঁধানো ১৪৬ রানের ইনিংস বিরাটদের মাথায় চিন্তার ভাঁজ ফেলেছিল৷ তৃতীয় দিন ব্রিটিশ ব্যাটসম্যানকে ছাপিয়ে সংবাদের শিরোনামে উঠে এলেন লোকেশ রাহুল৷ টেস্টে চতুর্থ সেঞ্চুরি হাঁকালেন রাহুল৷ মাত্র এক রানের জন্য টেস্টে প্রথম দ্বিশতরানটা হাতছাড়া হল৷ রশিদের বলে বাটলারের হাতে ক্যাচ উঠতেই হতাশায় বসে পড়লেন রাহুল৷ কিন্তু তাঁর ১৯৯ রান দলকে যেভাবে অক্সিজেন দিল, তাতে লোকেশের এই অনবদ্য ইনিংসের কথা বহুকাল মনে রাখবেন ক্রিকেটপ্রেমীরা৷
পঞ্চম টেস্টের দ্বিতীয় দিন ফিল্ডিংয়ের সময় চোট পাওয়ায় ব্যাট হাতে ওপেন করতে পারেননি মুরলী বিজয়৷ ফলে পার্থিবকে সঙ্গে নিয়েই রানের পাহাড় তাড়া করার কঠিন কাজটা শুরু করেছিলেন রাহুল৷ বলাবাহুল্য তাঁদের ১৫২ রানের পার্টনারশিপ ব্রিটিশ বোলিংয়ের মুখে ঝামা ঘষে দিল৷ বিরাট কোহলিকে ঠেকানোর স্ট্র্যাটেজি বানাতে গিয়ে কি বিপক্ষের বাকি ব্যাটসম্যানদের সেভাবে গুরুত্ব দিতে ভুলে গিয়েছিলেন কুকরা? তৃতীয় দিনের স্কোরবোর্ড কিন্তু তেমনই ইঙ্গিত দিল৷ এক সিরিজে গাভারকরের সর্বোচ্চ ৭৭৪ রানের রেকর্ড যাতে বিরাট না ভাঙতে পারেন, সেদিকেই ফোকাস ছিল ইংল্যান্ডের৷ তাই বিরাটকে ১৫ রানে ফেরাতে পারায় উচ্ছ্বসিত ব্রড৷ তবে ভারতের প্রথম ইনিংস জানান দিল, দল কেবলই বিরাট নির্ভর নয়৷ ইংল্যান্ডকে টেক্কা দিতে ক্যাপ্টেন কোহলির ম্যাজিক বক্সে দারুণ দারুণ অস্ত্র মজুত রয়েছে৷ আর তাই অধিনায়ককে ফিরিয়েও স্বস্তি পেলেন না বেন স্টোকসরা৷ চিপকে করুন নায়ার পর্ব তখনও বাকি ছিল৷ দিনের শেষে ৭১ রানে ক্রিজে রইলেন তিনি৷ এদিন ছ’নম্বরে ব্যাট করতে এসে ১৭ রানে অপরাজিত থাকলেন মুরলী৷
অ্যান্ডারসনের অনুপস্থিতিতে ব্রড, রশিদ, বেন স্টোকসের উপরই ভরসা রেখেছেন অধিনায়ক কুক৷ চতুর্থ দিনে তাঁরা জ্বলে উঠতে না পারলে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস ছাপিয়ে যেতে খুব বেশি সমস্যা হবে না ভারতের৷ ২০১১-য় হোয়াইটওয়াশের বদলা নিতে সফল হবে কি বিরাটবাহিনী? এ দেশের ক্রিকেটভক্তরা অন্তত সেই স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দিয়েছে৷
The post লোকেশের চওড়া ব্যাটে ভর করে চালকের আসনে ভারত appeared first on Sangbad Pratidin.