ভারত: ৩২৯-১০ (পন্থ ৭৭, ধাওয়ান ৬৭)
ইংল্যান্ড: ৩২২-৯ (কুরান ৯৫, মালান ৫০)
ভারত ৭ রানে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্নায়ুর চাপ সামলেই বাজিমাত। টানটান লড়াইয়ের পর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় একদিনের ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিল ভারত (Indian Cricket Team)। পেশাদার দলগত পারফরম্যান্সে ভর করে ইংল্যান্ডকে ৭ রানে হারাল টিম ইন্ডিয়া। সেই সঙ্গে তিন ম্যাচের রুদ্ধশ্বাস সিরিজ ২-১ ম্যাচের ব্যবধানে জিতে নিল বিরাট ব্রিগেড। চার বছর পর প্রথমবার ইংরেজদের বিরুদ্ধে সিরিজ জয়ের হ্যাটট্রিক করল ভারতীয় দল। অধিনায়ক হিসেবে নিজের ২০০তম আন্তর্জাতিক ম্যাচ স্মরণীয় করে রাখলেন অধিনায়ক কোহলি।
টস হারলেও এদিন রোহিত-ধাওয়ান (Sikhar Dhawan) জুটিতে ভর করে শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল ভারত। এদিন আরও একবার শতরানের পার্টনারশিপ করেন তাঁরা। ধাওয়ান ৬৭ এবং রোহিত ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন। যদিও ১০৪ রানের দুর্দান্ত এই ওপেনিং জুটির পরও টিম ইন্ডিয়া যে স্কোরে পৌঁছাতে চাইছিল, সম্ভবত সেই উচ্চতায় পৌঁছাতে পারেনি টিম ইন্ডিয়া (Team India)। কোহলি এবং রাহুল দুজনেই এদিন ব্যর্থ হন। যদিও পন্থ এবং হার্দিক দুর্দান্ত ইনিংস খেলে তাঁদের ব্যর্থতা অনেকাংশে পূরণ করে দেন। পন্থ ৬২ বলে ৭৮ এবং হার্দিক ৪৪ বলে ৬৪ রান করেন। ক্রুণাল পাণ্ডিয়া ২৫ এবং শার্দূল ঠাকুর ৩০ রানের উপযোগী ইনিংস খেলেন। কিন্তু নিজেদের বরাদ্দ ৫০ ওভার খেলতে পারেনি ভারতীয় দল। মাত্র ৪৮.২ ওভারে ৩২৯ রানে শেষ হয় টিম ইন্ডিয়ার ইনিংস।
[আরও পড়ুন: ফের টস হেরে হাসির খোরাক বিরাট, নতুন রেকর্ড রোহিত-ধাওয়ান জুটির]
পুণের এই পিচে ৩৩০ রানের লক্ষ্যমাত্রা যে বিরাট কিছু নয়, সেটা জানাই ছিল টিম ইন্ডিয়ার। তাই দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই আক্রমণাত্মক মেজাজে নামে বিরাট ব্রিগেড। টিম ইন্ডিয়ার শরীরী ভাষাও ছিল রীতিমতো আগ্রাসী। শুরুটাও বেশ ভালই হয়েছিল। মাত্র ২৮ রানের মাথায় দুই ইংরেজ ওপেনারই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। একটা সময় ৯৪ রানে চার উইকেটের পতন ঘটে বাটলার বাহিনীর। সেসময় মনে হচ্ছিল ভারতের জয় সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু শেষবেলায় একার হাতে খেলা কার্যত ঘুরিয়ে দেন স্যাম কুরান। আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৮৩ বলে ৯৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য স্নায়ুর চাপ সামলে বাজিমাত করে ভারতই। শেষ ওভারে ১৪ রান তুলতে পারেননি কুরান। নটরাজন দেন ৬ রান। ভারত জয় পায় ৭ রানে।