shono
Advertisement

সুযোগ পেয়েই দুরন্ত ব্যাটিং সূর্যর, কষ্টার্জিত জয়ে সিরিজে সমতা ফেরালেন বিরাটরা

৩১ বলে ৫৭ রানের দুরন্ত ইনিংস খেললেন সূর্যকুমার যাদব।
Posted: 11:18 PM Mar 18, 2021Updated: 11:26 PM Mar 18, 2021

ভারত: ২০ ওভারে ১৮৫/৮ (সূর্যকুমার ৫৭, আর্চার ৩৩/৪)
ইংল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৭৭/৮ (স্টোকস ৪৬, শার্দূল ৩/৪২)
ভারত আট রানে জয়ী।

Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত (India) বনাম ইংল্যান্ডের (England) চলতি টি-২০ সিরিজে একটি মিথ তৈরি হয়ে গিয়েছিল। টস যাঁর, ম্যাচ তাঁর। কিন্তু চতুর্থ টি-২০ ম্যাচে সেই মিথ ভেঙে দিল টিম ইন্ডিয়া (Team India)। আর এটা সম্ভব হল সূর্যকুমার যাদবের অসাধারণ ইনিংস এবং ভারতীয় বোলারদের দুরন্ত বোলিংয়ের সৌজন্যে। ভারতের দেওয়া ১৮৬ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে আট রানে হেরে গেলেন জোফ্রা আর্চাররা। আর এর ফলে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে সমতা ফিরিয়ে আনলেন বিরাটরা (Virat Kohli)।

বৃহস্পতিবার টস জিতে প্রত্যাশামতোই প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ইংরেজ অধিনায়ক ইওন মর্গ্যান। গত তিন ম্যাচে ব্যর্থ হলেও এদিন ফের একবার কেএল রাহুলই ওপেন করেন। তাঁর সঙ্গে নামেন রোহিত শর্মা। কিন্তু প্রথমে রোহিত (১৪) এবং পরে রাহুল (১২) অল্পরানেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন। কিন্তু এদিন টিম ইন্ডিয়ার হয়ে দুরন্ত ব্যাটিং করেন সূর্যকুমার যাদব। ঈশান কিষানের জায়গায় প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। আর তিন নম্বরেই নেমেই নিজের জাত চেনালেন। আগেই অভিষেক হলেও আসলে এদিনই প্রথম ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়েছিলেন এই মুম্বইকর। আর তাতেই করলেন দুরন্ত অর্ধ-শতরান। ৩১ বলে ৫৭ রান করে স্যাম কুরানের বলে আউট হন সূর্য। তবে তাঁর আউট নিয়ে যথেষ্ট বিতর্কও হয়। এমনকী ডাগ আউটে উষ্মা প্রকাশ করতেও দেখা যায় অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে। এরপর শেষদিকে ঋষভ পন্থ (৩০) এবং শ্রেয়সের (৩৭) ব্যাটে ভর করে স্কোরবোর্ডে ১৮৫ রান তুলতে সক্ষম হয় টিম ইন্ডিয়া। ইংল্যান্ড বোলারদের মধ্যে ৩৩ রান দিয়ে চার উইকেট নেন জোফ্রা আর্চার।

[আরও পড়ুন: এএফসির নিয়মের জের, আগামী ISL থেকে প্রথম একাদশে খেলবেন সর্বোচ্চ ৪ বিদেশি]

১৮৬ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে শুরুতেই গত ম্যাচের নায়ক জোস বাটলারের উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। ৯ রান করে ভুবনেশ্বরের বলে আউট হন বাটলার। এরপর ব্যক্তিগত ১৪ রানের মাথায় মালানকে বোল্ড করেন যুজবেন্দ্র চাহালের জায়গায় দলে সুযোগ পাওয়া রাহুল চাহার। উলটোদিকে অবশ্য মারমুখী মেজাজে ব্যাট করছিলেন আরেক ইংরেজ ওপেনার জেসন রয়। কিন্তু মালান আউট হওয়ার কিছু পরেই তিনিও আউট হয়ে যান। জেসন রয়ের (৪০) উইকেটটি নেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। এরপর জনি বেয়ারস্টো এবং বেন স্টোকস অবশ্য পালটা লড়াই শুরু করেন। অনেকেই ভেবেছিলেন ম্যাচ হয়তো সহজেই জিতে যাবেন বিরাটরা। কিন্তু স্টোকসদের লড়াই কিছুটা হলেও চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল ক্রিকেটভক্তদের। তবে শেষপর্যন্ত চাহার ওই জুটি ভাঙেন। ২৫ রানে আউট হন বেয়ারস্টো।

এরপরও লড়াই জারি রেখেছিলেন স্টোকস। তবে ব্যক্তিগত ৪৬ রানের মাথায় শার্দূল ঠাকুরের বলে আউট হয়ে যান তিনিও। পরের বলেই আউট হয়ে যান ইংল্যান্ড অধিনায়ক ইওন মর্গ্যানও। এরপর ম্যাচ ঝুঁকে যায় ভারতের দিকেই। তবে শেষ দিকে বিরাটদের হাত থেকে ম্যাচ কার্যত ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন আর্চার। শার্দূলের করা শেষ ওভারে ২৩ রান বাকি থাকলেও প্রথম তিন বলে আসে ১২ রান। শেষপর্যন্ত অবশ্য নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৭৭ রানেই থেমে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল সেই শার্দূলই। ৪২ রান দিয়ে তিন উইকেট পান তিনি। এর ফলে সিরিজের শেষ ম্যাচটিই হয়ে দাঁড়াল ফয়শালার ম্যাচ। ওই ম্যাচ যাঁর, সিরিজও জিতবে সেই দল।

[আরও পড়ুন: ফাইনালে হারের অবসাদে আত্মঘাতী কুস্তিগীর গীতা ও ববিতা ফোগতের বোন রীতিকা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement